গেল দুই মাস ধরে বন্ধ হয়ে আছে ভোলার লালমোহনের ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা। এতে অর্থ সংকটে পড়ে চরম দুর্দশায় দিন পার করছেন ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গেল ২৯ সেপ্টেম্বর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) বদলি হয়ে যায়। এরপর ওই পদে একজনকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত ওই কর্মকর্তাকে ডিডিওশিপ না দেওয়ায় কর্মরতদের বেতন-ভাতার ফাইল হস্তান্তরে স্বাক্ষর করতে পারছেন না তিনি। এতে গেল দুই মাস ধরে বেতন-ভাতা তুলতে পারছেন না কর্তব্যরত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।
বিজ্ঞাপন
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ১৩০ জন কর্মকর্তা- কর্মচারী কর্মরত আছেন। এরমধ্যে প্রথম শ্রেণির ১২ জন ও দ্বিতীয় শ্রেণির ৩২ জন কর্মকর্তা এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৮৬ জন কর্মচারী। তারা গত অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের কোনো ধরনের বেতন-ভাতা তুলতে পারেননি। এতে করে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চরম অর্থ সংকটে ভুগছেন।
![]()
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত কয়েকজন সেবিকারা জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার (ইউএইচএফপিও) বদলির পর থেকে গত দুই মাস ধরে আমাদের সবার বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। এতে করে আমরা চরম দুর্ভোগে পড়েছি। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সংসার চালাতে এখন ধারদেনা করতে হচ্ছে। কবেই বা এর সমাধান হবে তাও বলা যাচ্ছে না। দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুনভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) পদায়ন করে এ সমস্যা দূর করার দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. মহসীন খান ঢাকা মেইলকে জানান, আমি বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে রয়েছি। তবে আমাকে ডিডিওশিপ না দেওয়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের বেতন-ভাতা তুলতে পারছেন না। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করছি এ সমস্যা সমাধানে ঊর্ধ্বতনরা দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে ভোলা সিভিল সার্জন ডা. মনিরুল ইসলাম বলেন, লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) বদলি হওয়ার পর নতুন করে একজনকে পদায়ন করা হয়। কিন্তু তিনি যোগদান করেননি। এই কারণে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতা আটকিয়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। খুব দ্রুত সেখানে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচফিও) পদায়ন করবে এবং চলমান সমস্যার সমাধান হবে।
প্রতিনিধি/এসএস

