গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের চরবালুয়া গ্রামে চলছিল তাফসির মাহফিল। মঞ্চে বয়ান করছিলেন বক্তা ফরিদুল ইসলাম (৩৫)। উপস্থিত হাজারো মানুষ মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন প্রিয় বক্তার হৃদয়ছোঁয়া বয়ান। হঠাৎ করেই বয়ানরত অবস্থায় ব্রেন স্ট্রোক করে স্টেজে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের বালুমা গ্রামে মাহফিলের স্টেজে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে রংপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (৮ ডিসেম্বর) মারা যান তিনি।
বিজ্ঞাপন
ফরিদুল ইসলাম (৩৫) গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের খামার গোবিন্দপুর গ্রামের খোকা মিয়ার ছেলে। এছাড়াও তিনি মহিমাগঞ্জ আইডিয়াল একাডেমিক স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক এবং স্থানীয় ঘোষপাড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম ছিলেন। তার আড়াই বছর বয়সী একটি সন্তান আছে।
স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাতে চরবালুয়া গ্রামের একটি জামে মসজিদের উদ্যোগে আয়োজিত তাফসির মাহফিলের তৃতীয় বক্তা হিসেবে বয়ান শুরু করেছিলেন ফরিদুল ইসলাম। বয়ান শুরুর কিছুক্ষণ পরেই ব্রেন স্ট্রোক করে স্টেজেই ঢলে পড়েন তিনি। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয়ভাবে এবং পড়ে রংপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ভোরে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
পরে ওইদিন বেলা ১১টায় মহিমাগঞ্জ আলিয়া মাদরাসা মাঠে মরহুমের প্রথম জানাজা এবং বিকেলে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের খামার গোবিন্দপুর গ্রামে দ্বিতীয় জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
মাওলানা ফরিদুল ইসলামের মৃত্যুতে এলাকায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রতিনিধি/টিবি

