আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, আমি একটি উন্নয়ন কাজের সহযোগী চাইলাম, সেটাকে কেন্দ্র করে আমাকে হেনস্তা করা হয়েছে। আমরা সবার নাম জানি, সবাইকে চিনি, তাদেরকে বের করে দলীয় শৃঙ্খলার ভেতর আনতে হবে।
ফুয়াদ বলেছেন, গতকালের (রোববার) ঘটনার সময় প্রশাসনের সবাই ছিল, কিন্তু তারা কিছুই করেনি, নিশ্চুপ ছিল। গতকালের ঘটনায় বাবুগঞ্জের প্রশাসনের বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তবে এখানে ভালো নির্বাচন সম্ভব না।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশালের রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এবি পার্টি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, খুনি, চাঁদাবাজ, মাদক কারবারি কোনো দলের নেতা হতে পারে না। রাজনৈতিক দলের আচরণ আওয়ামী লীগের সময় যেমন দেখেছি বর্তমানে বিএনপির এক অংশের আচরণও সেরকম।
ফুয়াদ বলেন, জাতীয় স্বার্থ বিবেচনা করে আমি ধৈর্য ধরেছি, কারণ আমরা বাংলাদেশকে বদলে দিতে চাই। আমরা সম্মান ও মর্যাদার রাজনীতি চাই। কোনো রকমের গুণ্ডাপাণ্ডার রাজনীতি চাই না।
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গত, রোববার বরিশালের মীরগঞ্জ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের পর ব্রিজ নির্মাণের ঠিকাদারের কাছে বিভিন্নভাবে স্থানীয়রা চাঁদা দাবি করেছেন বলে সাংবাদিকদের কাছে বক্তব্য দেন ফুয়াদ। এসময় স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে ঘিরে ধরে চাঁদাবাজদের নাম জানতে চায়। তখন দুই গ্রুপে ধাক্কাধাক্কি হয়। এসময় ফুয়াদ তোপের মুখে পড়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে শুরু করলে বিএনপি নেতাকর্মীরা ভুয়া স্লোগান দিয়ে মিছিল করে এবং পিছু নেয়।
প্রতিনিধি/এসএস

