শোভাযাত্রা, মোমবাতি প্রজ্জ্বল্পন, আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে মাগুরা মুক্ত দিবস।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) মাগুরা মুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও মাগুরা প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পৃথক কর্মসূচি পালন করেছে।
বিজ্ঞাপন
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকালে র্যালি শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মো. আখতার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ালিদুজ্জামান, হারেজ উদ্দিন, প্রমুখ।
দুপুরে মাগুরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে শহরে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালী শেষে ক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, কার্যনির্বাহী পরিষদের সিনিয়র সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মো. ওয়ালিয়র রহমান, সহ-সভাপতি শামীম খান, আলোক বোস, অ্যাড. সঞ্জয় রায় চৌধুরী, মো. সাইফুল্লাহ, দেলোয়ার হোসেন, শাহিন আলম তুহিন, শেখ ইলিয়াস মিথুন, রূপক আইচ, মো. ইমরান হোসেন প্রমুখ। সন্ধ্যায় প্রেস ক্লাবের সামনে মোমবাতি প্রজ্বলন করে সাংবাদিকরা।
এছাড়া উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, বাসদসহ বিভিন্ন সংগঠন নোমানী ময়দানে স্মৃতিস্তম্ভে মোমবাতি প্রজ্বলন করে।
১৯৭১ সালের এই দিনে মাগুরা পাক হানাদার মুক্ত হয়। এর আগে ৬ ডিসেম্বর আকাশ পথে মিত্র বাহিনীর বিমান হামলা এবং স্থলপথে মুক্তিবাহিনী ও মিত্র বাহিনীর আক্রমণের চাপে পাক সেনারা মাগুরায় টিকতে না পেরে ফরিদপুর হয়ে ঢাকার দিকে পালাতে শুরু করে। ৭ ডিসেম্বর ভোরে মুক্তিযুদ্ধে শ্রীপুর বাহিনীর অধিনায়ক আকবর হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী বিজয়ের বেশে শত্রুমুক্ত মাগুরা শহরে প্রবেশ করে। মুক্তিযোদ্ধারা গোটা শহরের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি গ্রহণ করে। মুক্তিকামী মানুষের মিছিলে পরিণত হয় মাগুরা শহর।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/ এজে
