রোববার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

আমরা ২-৪টা আসনের জন্য কারও সঙ্গে জোট করব না: নুর 

জেলা প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া 
প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:১১ পিএম

শেয়ার করুন:

আমরা ২-৪টা আসনের জন্য কারও সঙ্গে জোট করব না: নুর 
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। ছবি: ঢাকা মেইল

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে শেখ হাসিনা তাদের দলকে টাকা ও আসনের প্রস্তাব দিলেও তারা ‘ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আপোষ’ করেননি; তাই ২-৪টি আসনের লোভে এখনো কোনো রাজনৈতিক জোটে যাবে না গণঅধিকার পরিষদ। দেশের প্রয়োজনে জোট হলে তা হবে ন্যায্য ও সম্মানজনক আসন সমঝোতার ভিত্তিতে।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নবীনগর পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নুরুল হক নুর। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে দলীয় প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দিতে স্থানীয় গণঅধিকার পরিষদ এ জনসভার আয়োজন করে।


বিজ্ঞাপন


নুরুল হক নুর বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে শেখ হাসিনা আমাদের আসন অফার করেছিলেন, টাকা অফার করেছিলেন। কিন্তু আমরা ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আপোষ করিনি। আমরা ২-৪টা আসনের জন্য কারও সঙ্গে জোট করব না। যদি দেশের প্রয়োজনে জোট করি, তাহলে ন্যায্যতার বিচারে সম্মানজনক আসন সমঝোতার ভিত্তিতেই হবে।

তিনি জানান, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণঅধিকার পরিষদ এককভাবে সবকটি ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে। আর ভবিষ্যতে কোনো জোট গঠন হলে যেখানে তাদের জনসমর্থন রয়েছে, সেসব আসন ‘নিশ্চিত করেই’ জোটে যাবে দলটি।

জনসভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে জেলা গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি নজরুল ইসলামকে একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন নুরুল হক নুর।

নবীনগর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রঅধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক সানাউল্লাহ হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি আশরাফুল হাসান তপু, নবীনগর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. কাইয়ূম প্রমুখ।


বিজ্ঞাপন


নুরুল হক নুর বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে। নির্বাচন কমিশনও তার কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছে, ১১ তারিখ তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামের লড়াকু ও আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ থাকায় যদি কোনো প্রেক্ষাপট তৈরি হয় নির্বাচন পেছানোর, সেটি হয়তো নির্বাচন কমিশন এবং সরকার বিবেচনা করবে। অন্যথায় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে।

বক্তব্যে কিছু রাজনৈতিক দলের নেতাদের আচরণ নিয়ে সমালোচনা করেন গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি। তার ভাষ্য, দেশের কিছু নেতাকে এখন পুরনো ফ্যাসিস্টদের মতোই হুমকি-ধামকি ও আধিপত্য বিস্তারের অপরাজনীতি করতে দেখা যাচ্ছে।

নুরুল হক নুর বলেন, ১৬ বছরের অপশাসন মুহূর্তের মধ্যেই চুরমার হয়ে গেছে। জনগণের প্রতিবাদে নেতারা সীমান্ত দিয়ে, হেলিকপ্টার দিয়ে, নদী-নালা ও খাল-বিল দিয়ে যে যেভাবে পেরেছে পালিয়ে গেছে। ভবিষ্যতেও কেউ জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে তাদের পরিণতিও এমনই হবে।

তিনি গণঅভ্যুত্থানের অংশীজন সব রাজনৈতিক দলকে সংযত ও সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো শক্তিই টিকতে পারবে না।

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর