কুড়িগ্রামে শীত ও ঠান্ডার তীব্রতা গত পাঁচ দিন থেকে অব্যাহত রয়েছে। হিমেল বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে কষ্ট বেড়েছে চরাঞ্চলের ও খেটে খাওয়া মানুষের। তারা ঠিকমতো কাজে যেতে পারছে না। দুর্ভোগ বেড়েছে শিশু, নারী ও বৃদ্ধদের।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে বইছে হিমেল বাতাস, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ১৬ নদ-নদীর তীরবর্তী এলাকায় ৪৬৯টি চরের মধ্যে ২৬৯টিতেই মানুষের বসবাস। এসব চরে তীব্র শীত ও হিমেল বাতাসে ঘরবন্দী হয়ে পড়েছে মানুষ।
বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও চররাজিবপুর উপজেলার চরে শীতের তীব্রতা কয়েক গুণ বেশি।
আরও পড়ুন: হিমেল বাতাসের প্রভাবে পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রির ঘরে
বিজ্ঞাপন
এরমধ্যে বৃদ্ধ, শিশু ও দিনমজুররা বেশি বিপাকে পড়েছেন। শীতের কারণে অনেক দিনমজুরদের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে আর্থিক কষ্টে দিন কাটছে তাদের।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, কুড়িগ্রাম জেলায় শুক্রবার সকাল ৬টায় ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ। গত ৫ দিন ধরে তাপমাত্রা নিম্নমুখী। তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস-এর মধ্যে ওঠানামা করছে।
প্রতিনিধি/ এমইউ

