ঝিনাইদহ সদর উপজেলার এমএ খালেক মহাবিদ্যালয়ের এক কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ পাওয়ার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, বাংলা বিভাগের শিক্ষক নজরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। মোবাইল ফোনে আপত্তিকর মেসেজ পাঠানোর পাশাপাশি সরাসরি দেখা হলে বিভিন্ন অনৈতিক মন্তব্য করার অভিযোগও রয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্রীসহ অন্তত ১৬ জন শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ করেছেন।
বিজ্ঞাপন
গত বুধবার (৩ ডিসেম্বর) শিক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগের পর জরুরি সভা আহ্বান করে কলেজ কর্তৃপক্ষ নজরুল ইসলামের সাময়িক বহিষ্কার করে। কলেজের অধ্যক্ষ মো. ওলিয়ার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগী এক ছাত্রী (নাম প্রকাশ না করার শর্তে) বলেন, “আমি নজরুল স্যারকে অনেক সম্মান করতাম। তিনি আমাদের শিক্ষক। কিন্তু মোবাইল ফোনে আপত্তিকর মেসেজ পাঠাতেন। রিপ্লাই না দিলে সরাসরি দেখা হলে অনৈতিক মন্তব্য করতেন। আমরা তার শাস্তি চাই। তিনি শিক্ষকতার মতো মহান পেশাকে কলঙ্কিত করেছেন।’
কলেজ অধ্যক্ষ মো. ওলিয়ার রহমান বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছি। অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গুরুতর অভিযোগের কারণে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) অবহিত করা হয়েছে। ইউএনও কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন।”
অভিযুক্ত শিক্ষক নজরুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার মোবাইল ফোন হ্যাক হয়েছে। এর কারণে শিক্ষার্থীদের কাছে অনৈতিক মেসেজ চলে গেছে।’
বিজ্ঞাপন
৪/৫ মাস ধরে মোবাইল ফোন হ্যাক হয়ে থাকে কীভাবে, এমন প্রশ্ন করলে তিনি ফোনকল কেটে দেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসনে আরা বলেন, “কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছে। লিখিত অভিযোগের কপি হাতে পাওয়া মাত্রই যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসকেও অবহিত করা হবে।”
প্রতিনিধি/এমআর

