শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

রূপগঞ্জে ছাত্রদলের দুপক্ষে সংঘর্ষে আহত ৮, কার্যালয় ভাঙচুর

জেলা প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৩৯ পিএম

শেয়ার করুন:

রূপগঞ্জে ছাত্রদলের দুপক্ষে সংঘর্ষে আহত ৮, কার্যালয় ভাঙচুর
সংঘর্ষের সময় ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের হোড়গাঁও চেয়ারম্যানবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।


বিজ্ঞাপন


প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য নিয়ে ছাত্রদল নেতা সাজ্জাদ মাওলা বিন মিজান গ্রুপ এবং আরেক নেতা রাকিব হাসানের গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। সাজ্জাদ মাওলা বিন মিজান বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের অনুসারী। অন্যদিকে রাকিব হাসান কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ জনের একটি দল ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদল কার্যালয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে আটজন আহত হন। সংঘর্ষে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ছাত্রদল নেতা সাজ্জাদ মাওলা বিন মিজান অভিযোগ করেন, বুধবার রাতে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়। সেখানে ছাত্রদল নেতা মাসুদুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন। ওই রাতেই প্রতিপক্ষ রাকিব হাসান ও তার লোকজন এসে কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের ছবি নামিয়ে রাখতে এবং কার্যালয় খালি করার হুমকি দেয়।

সাজ্জাদের দাবি, বৃহস্পতিবার দুপুরে রাকিব হাসান, শাহাবুদ্দিন, নজরুল, মোশারফ, বাবু, আরিফ বকুলসহ ৩৫-৪০ জন পিস্তল ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে কার্যালয়ে হামলা চালায়। হামলাকারীরা খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের ছবি নামিয়ে ভাঙচুর করে। পরে টিভি, আসবাবপত্রসহ অন্যান্য মালামালও নষ্ট করা হয়। বাধা দিতে গেলে তাকে এবং সাজ্জাদ মাওলা বিন সিয়াম, জুবায়ের হোসেন, আব্দুল্লাহ, সায়েম, জুবায়ের শাহরিয়ার নাসিম ও গোলাম মাওলা নয়নকে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতলে পাঠানো হয়েছে। তিনি দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।


বিজ্ঞাপন


তবে ছাত্রদল নেতা রাকিব হাসান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। ওই কার্যালয়ে নানা ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ চলছিল। সে কারণেই গ্রামবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে হামলা করেছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় শান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিনিধি/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর