শনিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ঢাকা-১ আসনে বিএনপি ও জামায়াতের তুমুল লড়াইয়ের আভাস

উপজেলা প্রতিনিধি, দোহার (ঢাকা)
প্রকাশিত: ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:২৮ পিএম

শেয়ার করুন:

ঢাকা-১ আসনে বিএনপি ও জামায়াতের তুমুল লড়াইয়ের আভাস

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঢাকা-১ আসনে (সংসদীয় আসন ১৭৪) প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর মধ্যে একটি তীব্র নির্বাচনী লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলেও, এবার সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন, লড়াইটা হবে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে।

নির্বাচনকে সামনে রেখে উভয় দলই সমানতালে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। জামায়াতে ইসলামী তাদের তৃণমূল পর্যায়ে, অর্থাৎ ইউনিয়ন স্তরের প্রচারণার কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে। অন্যদিকে, বিএনপিও তাদের কৌশলগত প্রচারণার মাধ্যমে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছে।


বিজ্ঞাপন


ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক এই আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারি ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীকে একক প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

তবে বিএনপির জন্য কিছুটা জটিলতা তৈরি হতে পারে। প্রয়াত বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নানের মেয়ে মেহনাজ মান্নান এবং অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী যদি নির্বাচনে অংশ নেন, তবে তারা স্বাভাবিকভাবেই বিএনপির ভোটে ভাগ বসাবেন, যা খন্দকার আবু আশফাকের ভোটের হিসাবে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।

ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম প্রথমবারের মতো দোহার-নবাবগঞ্জ থেকে নির্বাচন করছেন। গত কয়েক মাস ধরে তিনি নিয়মিত গণসংযোগ ও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। উঠান বৈঠক, প্রচারপত্র বিলি এবং হাট-বাজারে ভোটারদের সাথে মতবিনিময় করে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।

দোহার উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি নূর-এ-আলম ঝিলু জানান, ‘জোর করে ভোট আদায়ের দিন শেষ। আমরা বিশ্বাস করি, ভোটাররা জেনে-বুঝে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে একটি উন্নত বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে। নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা ভোটাররা এবার পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দেবেন বলে আমরা আশাবাদী।’


বিজ্ঞাপন


অন্যদিকে, বিএনপি প্রার্থী খন্দকার আবু আশফাকও ভোটারদের ভোট পেতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন এবং জনমত তৈরি করে ভোট নিজেদের বাক্সে আনার জন্য নিবিড়ভাবে কাজ করছেন।

দোহার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘ভোটাররা বিএনপিকে ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন। ব্যালটের মাধ্যমেই প্রমাণিত হবে জনগণ কাকে তাদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে চায়।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উপস্থিতি এই আসনের নির্বাচনী সমীকরণকে আরও জটিল করে তুলবে এবং মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর