নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আবারও একজন রোহিঙ্গা যুবককে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে আটক হওয়া ব্যক্তি নিজেকে আব্দুল আজিজ হিসেবে পরিচয় দিলেও তদন্তে দেখা যায়, তিনি বাংলাদেশের নাগরিক নন। রোহিঙ্গা ডাটাবেজ যাচাইয়ের মাধ্যমে তার আসল নাম আজিজ খান এবং বাবার নাম সালামত খান হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। তাকে ফতুল্লা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, তিনি মুন্সিগঞ্জের জাতীয় পরিচয়পত্রের পরিচয়ে এবং সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করেছিলেন। এছাড়া নিজেকে তিনি হাফেজ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তিনি টাকা দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করে পাসপোর্ট করার উদ্দেশ্যে অফিসে এসেছিলেন।
উপপরিচালক শামীম আহমদ এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা পাসপোর্ট অফিসে নাগরিকত্ব যাচাই প্রক্রিয়াকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। রোহিঙ্গা বিষয় নিয়ে আমাদের নীতি জিরো টলারেন্স। গত ছয় মাসে এখানে পাঁচ জন রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষ আটক হয়েছেন, যারা বিভিন্ন জেলার জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মসনদ জাল করেছে। প্রতিটি ঘটনা আমাদের জন্য সতর্কবার্তা। আমরা শুধু পাসপোর্ট প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করছি না, পাশাপাশি রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম প্রতিরোধেও সক্রিয়ভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছি। প্রত্যেক জাল কাগজপত্র এবং জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ঘটনায় ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আনিসুর রহমান রাকিব সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
প্রতিনিধি/একেবি
বিজ্ঞাপন

