শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

শেরপুরের সেরা ‘ইউটিউবার’, কেনা যাবে ৭ লাখ টাকায়

নাঈম ইসলাম
প্রকাশিত: ০৪ জুলাই ২০২২, ০২:৫১ পিএম

শেয়ার করুন:

শেরপুরের সেরা ‘ইউটিউবার’, কেনা যাবে ৭ লাখ টাকায়
শেরপুরের সেরা ষাঁড় ‘ইউটিউবার’

৩২ মণ ওজনের ‘ইউটিউবার’কে কিনতে হলে গুণতে হবে সাত লাখ টাকা। শেরপুরে সাড়া ফেলেছে ‘ইউটিউবার’ নামের এই ষাঁড়টি। তার সঙ্গে সেলফি তোলারও হিড়িকও চলছে। ‘ইউটিউবার’ ওজন আকৃতি ও সৌন্দর্যে নজর কাড়ে সকলের। প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসছেন তাকে দেখতে। অনেকে বলছে, এবার শেরপুরের সবচেয়ে বড় এবং সেরা গরু এটি।

শেরপুর পৌর শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে বাজিতখিলার কুমড়ী এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া। পেশায় তিনি একজন তরুণ উদ্যোক্তা ও ইউটিউবার। ইউটিউবের আয় থেকে বাড়িতে ফ্রিজিয়ান ও শাহীওয়াল জাতের তিনটি গরু লালন-পালন করছেন। শখ করে একটির নাম দেওয়া হয়েছে ইউটিউবার। আরেকটি ষাঁড়ের নাম রাখা হয়েছে সাথী এবং অন্যটি ময়না নামের গাভী। গাভীটিও দিনে আট লিটার দুধ দিচ্ছে।


বিজ্ঞাপন


ইউটিউবার ও খামারি সুমন মিয়া ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমি একজন ইউটিউবার। ইউটিউব থেকে রোজগার করে গরুগুলো লালন পালন করছি। তাই ষাঁড়টির নাম দিয়েছি ইউটিউবার। তার সঙ্গে আরও একটি ষাঁড় পালন করছি। নাম দিয়েছি সাথী। ইউটিউবারকে ঘরের বাইরে তেমন বের করা হয় না। কেউ বাড়িতে এসে ষাঁড়টি ক্রয় করতে চাইলে সাত লাখ টাকায় বিক্রি করে দেব। আর সাথীকে তিন লাখ টাকা হলেই বিক্রি করব। ইউটিবারের ওজন প্রায় ৩২ মণ।’

utuber

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ইউটিউবারকে প্রতিদিন কলা, আপেল, আঙ্গুরসহ চাল, ভুষি, ছোলা, খেসারি খাইয়েছি। তাছাড়া আমি ও আমার মা-বাবা অত্যন্ত আদর যত্ন করেছি। আমি এবারের কোরবানিতে ন্যায্যমূল্যে গরুটিকে ছেড়ে দিতে চাই।’

সদর উপজেলার চরশেরপুরে ইউনিয়নের যোগিনী মুড়া নামা পাড়া গ্রামের আলমগীর আল আমিন ষাঁড়টি দেখতে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কখনো এত বড় গরু দেখিনি। তাই এ গরুটি দেখতে এসেছি। ষাঁড় দেখে খুব ভালো লাগল।’


বিজ্ঞাপন


শেরপুর শহরের মোবারকপুর মহল্লা থেকে আসা লাখি আক্তার ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘ষাঁড়টি দেখে খুব ভালো লাগছে। টিভিতে দেখেছি বড় বড় গরু কোরবানির হাটে উঠেছে। আজ বাস্তবে দেখলাম। এতো লম্বা ও উঁচু ষাঁড় আমি আগে কখনো দেখিনি।’

প্রতিবেশী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ষাঁড়টি দেখে খুব ভালো লাগছে। আমার ইচ্ছা আমিও এ রকম একটা গরু পালন করব।’

utuber

সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পলাশ ক্রান্তি ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমি সুমনের বাড়িতে গিয়ে তার শখের গরুটিকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছি। আমাদের অনেক শিক্ষিত যুবক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খামার করে লাভবান হচ্ছেন। আমরা তাদের উৎসাহ যোগাচ্ছি এবং নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছি।’

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকা মেইলকে জানান, এ বছর জেলায় কোরবানির গরুর উৎপাদন ৮৩ হাজার ৪শ ১৭টি, বিপরীতে চাহিদা রয়েছে ৫৫ হাজার ৪শ ৬৫টি। এছাড়া জেলার পাঁচটি উপজেলায় মোট ২৭টি কোরবানির হাট ও ৬টি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের উদ্যোগে পুরো জেলায় ২৩টি ভেটেনারি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। 

টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর