মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

এরশাদ উল্লাহ নন, ঘাতকের বন্দুকের নিশানায় ছিলেন নিহত বাবলা

জেলা প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৪০ পিএম

শেয়ার করুন:

CMP
মূল ছবিতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ। নিচে গোল বৃত্তে প্রথমে এরশাদ উল্লাহ, পরে সারোয়ার বাবলা।

নির্বাচনি গণসংযোগ চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ। সঙ্গে আহত হন তার দুই কর্মী। এর মধ্যে সারোয়ার বাবলা নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনিই মূলত ঘাতকদের বন্দুকের নিশানায় ছিলেন। 

বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম এভার কেয়ার হাসপাতাল গেটে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ।


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, ‘দুষ্কৃতকারীদের লক্ষ্য বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ নয়, নিহত সরোয়ার বাবলা ছিলেন। 

এর আাগে বিকেলে বন্দরনগরীর বায়েজিদ এলাকায় গণসংযোগের সময় গুলিবিদ্ধ হন চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি থেকে সদ্য মনোনয়ন পাওয়া এরশাদ উল্লাহ। তিনি মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক। সেই সময় গুলিতে নিহত হন তার সঙ্গে গণসংযোগে থাকা সরোয়ার বাবলা।

সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘দুষ্কৃতকারীরা সরোয়ার বাবলার মৃত্যু নিশ্চিত করতে গুলি করে। ঘটনার সময় তিনি এরশাদ উল্লাহর সঙ্গেই ছিলেন। সরোয়ারের অপরাধের ইতিহাস আছে।’

তিনি বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, হামলার মূল টার্গেট ছিলেন সরোয়ার। ঘটনার মূলে যারা, তাদের অনেকেই জেলে আছেন এবং দেশের বাইরে থেকে এর ইন্ধন আছে।’


বিজ্ঞাপন


সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘অপরাধ যেখানে হচ্ছে আমরা অধিকাংশদেরই গ্রেফতার করছি। কিন্তু আসামিরা ঘটনার পরপর রিমোট এলাকায় চলে যায়। সেখান থেকে তাদের ধরা খুবই দুষ্কর।’

নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, ‘এটা অবশ্যই ভালো হলো না। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এমন ঘটনা ভালো নয়। এমন যেন আর না ঘটে, সেই বিষয়ে আমরা সচেতন থাকব।’

গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ আপাতত আশঙ্কামুক্ত আছেন বলেও জানান সিএমপি কমিশনার।

এদিকে, চট্টগ্রামের এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গভীর উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন।

এএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর