ফেনী শহরের বিরিঞ্চি এলাকায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন দিয়ে দুইভাই কে পুড়িয়ে হত্যা মামলার ২ বছর পর অবশেষে রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ।
বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে ফেনীর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি গণমাধ্যমকে অবহিত করা হয়।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে ফেনীর পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জানান, ২০২৩ সালের ৫ অক্টোবর গভীর রাতে ফেনী পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ড বিরিঞ্চির শহিদুল ইসলামের ঘরে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়। ওই আগুনে পুড়ে মাহিদুল ইসলাম শাহাদাত (১৩) ও তানজিদুল ইসলাম গোলাপ (৬) মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতদের পিতা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ বিভিন্ন সময় ১০ জন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারলেও মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়নি। এক পর্যায়ে মামলাটি জরুরি ভিত্তিতে তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পর থেকে মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি কামাল হোসেন জনি দেশের বিভিন্ন জেলায় ছদ্মনামে পালিয়ে ছিলেন। জনি নিজে কোনো মোবাইল ব্যবহার না করায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে তাকে গ্রেপ্তার করা যাচ্ছিলো না।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামের মাদারবাড়ি এলাকা থেকে এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি কামাল হোসেন জনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিরিঞ্চি এলাকার জোড়া খুনের ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন হয়।
গ্রেফতার জনি ওই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ও জড়িতদের নাম ও ঘটনার পরিকল্পনা কীভাবে হয় তা পুলিশকে অবহিত করে। ঘটনার ৪ দিন আগে শহরের একটি বাগানে বসে ওই ঘরে আগুন দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে ৫ অক্টোবর রাত ১টার দিকে জনিসহ আরও ৩ জনে মিলে আগুন দিয়ে ২ জনকে হত্যা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, সাইদুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মর্ম সিং মারমাসহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এজে

