রোববার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

মুন্সীগঞ্জে অটোচালক মজিবুল মাঝি হত্যা, গ্রেফতার ৫

জেলা প্রতিনিধি, মুন্সিগঞ্জ 
প্রকাশিত: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:১৬ পিএম

শেয়ার করুন:

মুন্সীগঞ্জে অটোচালক মজিবুল মাঝি হত্যা, গ্রেফতার ৫

মুন্সিগঞ্জে নিখোঁজের তিন দিন পর খাল থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া অটোচালক মোহাম্মদ মজিবল মাঝি হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) বেলা ১টার দিকে, মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে ওসি জানায়, নিহত মজিবল মাঝি (৪৪) পেশায় অটোরিকশাচালক ছিলেন। তিনি পরিবার নিয়ে ঢাকার লালবাগের ইসলামবাগ এলাকায় বসবাস করতেন।


বিজ্ঞাপন


গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, সোহাগ মোল্লা (৪৩), জয় (৩১), ইমরান (৩০), হারুন (৫১) এবং আলী হোসেন (৪০)। তাঁদের কাছ থেকে নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন, মুন্সিগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম সাইফুল আলম।

গত ৩১ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে, তিনি অটোরিকশা নিয়ে গ্যারেজ থেকে বের হন। এরপর থেকে তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিন তাঁর ছেলে রাসেল লালবাগ থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন।

পরে ৩ নভেম্বর সকালে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার রতনপুর মধ্যপাড়া এলাকায় একটি ডোবায় বিছানার চাদর ও কম্বল পেঁচানো অবস্থায় ভেসে থাকা এক অজ্ঞাত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন।

পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে নিহতের স্বজনরা এসে সেটি মজিবল মাঝির মরদেহ বলে শনাক্ত করেন।


বিজ্ঞাপন


পুলিশ জানায়, নিহতের দুই হাত ও দুই পা মোটা প্লাস্টিকের রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়, তাঁকে অন্যত্র হত্যা করে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ওসি আরও জানান, ঘটনার পর পুলিশ সুপার মুন্সিগঞ্জের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল)-এর তত্ত্বাবধানে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সজিব দে’র নেতৃত্বে একটি চৌকস তদন্ত টিম গঠন করা হয়। এরপর প্রযুক্তির সহায়তায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ব্যক্তিরা হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাদের বর্ণনা অনুযায়ী, ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যায় মজিবল মাঝিকে ‘মাওয়া যাওয়ার’ কথা বলে কৌশলে মুন্সিগঞ্জ সদরের পঞ্চসার ইউনিয়নের তেলেরহবিল এলাকার ইমরানের ভাড়াবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানে তাকে নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে অচেতন করে ফেলা হয়। এরপর সোহাগ গলায় রশি প্যাঁচিয়ে ধরে, ইমরান পা ধরে রাখে এবং জয় বুকের ওপর বসে কাঁচি দিয়ে আঘাত করে তাঁকে হত্যা করে।

এরপর মরদেহটি বিছানার চাদর ও কম্বলে পেঁচিয়ে সোহাগের অটোরিকশায় করে রতনপুর এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়। পরদিন আসামিরা নিহতের অটোরিকশা হারুনের কাছে ৯৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে, পরে তা রামসিং এলাকায় ২য় দফায় আলীর গ্যারেজে এক লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়।

এদিকে এ ঘটনায় নিহতের স্বজনরা জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন।

প্রতিনিধি/ এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর