সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

এককভাবেই নির্বাচনের জন্য এগোচ্ছি: নাহিদ

জেলা প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৪২ পিএম

শেয়ার করুন:

এককভাবেই নির্বাচনের জন্য এগোচ্ছি: নাহিদ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সমঝোতা বা জোট এটা একটি রাজনৈতিক ও আদর্শিক জায়গা থেকে হতে পারে। যেমন জুলাই সনদের বিষয়টি রয়েছে। এই সনদে আমাদের সংস্কারের দাবিগুলোর সঙ্গে যদি কোনো দল সংহতি প্রকাশ করে সেক্ষেত্রে হয়ত আমরা জোটের সিদ্ধান্ত নেব। এখন পর্যন্ত আমরা এককভাবেই নির্বাচনের জন্য এগোচ্ছি। আমরা এই মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে আমাদের প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করব।

বুধবার (৫ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলে শহীদ জুলাই যোদ্ধা গাজী সালাউদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে একথা বলেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, আমরা এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ৩০০ আসনেই নির্বাচন আমাদের লক্ষ্য। তবে যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন, খালেদা জিয়ার কথা নাসিরুদ্দিন ভাই বলেছেন, তাদের সম্মানের জন্য আমরা সেসব আসনে প্রার্থী দেব না। এছাড়া সব আসনেই শাপলা কলির প্রার্থী দেব।

আরও পড়ুন

সব আসনেই শাপলা কলি প্রতীকে লড়বে এনসিপি, নভেম্বরেই চূড়ান্ত হবে প্রার্থী

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের কাছে আহ্বান জানিয়েছি। আমরা এবার বাংলাদেশের নির্বাচনের যে সংস্কৃতি, যাদের টাকা আছে, এলাকায় গডফাদারগিরি করে আমরা সেই সংস্কৃতিকে চ্যালেঞ্জ করতে চাই। এলাকার সাধারণ যে মানুষ, যাকে মানুষের প্রয়োজনে পাওয়া যায় যাদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, তাদের আমরা সংসদে দেখতে চাই।

আমরা গাজী সালাহউদ্দিন ভাইয়ের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। জুলাই যোদ্ধাদের সুচিকিৎসার যে দায়িত্ব অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ছিল তারা তা পালন করতে পারেনি বিধায় আজ আমাদের লাশের সারি বাড়ছে, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের শহীদের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা সরকারকে বলতে চাই গণ-অভ্যুত্থানের আহত যোদ্ধা যারা এখনও কাতরাচ্ছেন। এখনও যাদের শরীরে স্প্রিন্টার রয়েছে, যারা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের যেন চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। অনেকেরই দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন। এটা নিশ্চিত না হলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকবে।


বিজ্ঞাপন


নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা যেন নির্বাচনি ডামাডোলে আমাদের আহত ও শহীদদের কথা ভুলে না যাই। পরবর্তী নির্বাচিত সরকার যেই আসুক না কেন আমাদের এই কমিটমেন্ট যেন থাকে। আমরা গাজী সালাহউদ্দিনের পরিবারের পাশে আছি। আমি আহ্বান জানাই সরকার যেন তার দায়িত্ব নেয়। তিনি মারা যাওয়ার কয়েকদিন আগে একটি রাজনৈতিক দলের কর্মীদের দ্বারা হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন। শুনেছি তারা স্থানীয় কয়েকজন বিএনপির কর্মী, এটি থানা পুলিশ পর্যন্ত গিয়েছে। এ ছাড়া শুনেছি আওয়ামী লীগের সব সময় একটা থ্রেট থাকে। এরকম জুলাই যোদ্ধারা যারা সারা বাংলাদেশে আছেন তাদের রাজনৈতিক নিরাপত্তার সংকটও রয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে আমরা তাদের পাশে আছি। সরকারকে এবং সব রাজনৈতিক দলকে দায়িত্ব নিতে হবে যে এদের ত্যাগের কারণেই আমরা ফ্যাসিবাদকে বিতাড়িত করতে পেরেছি এবং নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর