খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‘চারটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে নাই, তাদের মতামত ব্যক্ত করতে পারে নাই, রাতের অন্ধকারে ভোট হয়েছে, বিনা ভোটে ১৫০ আসনের বেশি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদকে তামাশায় পরিণত করেছিল। তখন ভোট কেন্দ্রগুলো কুকুরের দখলে ছিল। আমরা আর ওই সময়ে ফিরে যেতে চাই না। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে নেত্রকোনার মদন উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর তহুরা আমিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে খেলাফত মজলিস আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: এনসিপির আখতারের আসনে বিএনপির প্রার্থী এমদাদুল হক ভরসা
মামুনুল হক বলেন, নির্বাচনের আগে জুলাই সনদের গণভোট বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা মনে করি যে জুলাই সনদের ফসল ঘরে তুলতে না পারলে বাংলার মানুষের অর্জিত স্বাধীনতা আবার হাতছাড়া হবে। পরিষ্কার ভাষায় আমরা বলে দিতে চাই, জুলাই সনদ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আপনাদের উপস্থিতি প্রমাণ করে মদন, খালিয়াজুড়ী ও নেত্রকোনার মাটি ইসলামের ঘাঁটি। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, এ দেশের আলেম সমাজ ও ইসলামপন্থীরা ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, জুলুমের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। খেলাফত মজলিসের নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার জুলুম ও নির্যাতনের টার্গেটে পরিণত হয়েছিল। আমরা ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে জীবন দিয়েছি। ২০২১ সালে আন্দোলনে জালিমের বুলেটের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছি, জালিমের রক্তচক্ষুর সামনে মাথা নোয়াইনি।
আরও পড়ুন: ‘ভাত না জোটার দেশে হাঁসের মাংস-বিলাস মোটেই শোভনীয় নয়’
বিজ্ঞাপন
শেখ হাসিনার সমালোচনা করে মামুনুল হক বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের অন্যায়ভাবে বছরের পর বছর বন্দী রেখে নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা নির্যাতন সহ্য করেছি, তবু দেশ ও ইসলামের প্রশ্নে আমরা মাথা নত করিনি। স্বাধীনতা ও ইসলামের প্রশ্নে আমরা কোনো অপশক্তির সামনে মাথা নত করব না ইনশাল্লাহ। ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে যে স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে তার সুফল ঘরে তোলার জন্য খেলাফত মজলিস চেষ্টা করবে।
সমাবেশে খেলাফত মজলিসের খালিয়াজুড়ী উপজেলা সভাপতি ও নেত্রকোনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মুফতি ইরশাদুল্লাহ কাসেমীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন - নায়েবে আমির আল্লামা আলী উসমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন সদস্য, অভিভাবক পরিষদ ও নেত্রকোনা জেলা শাখার সভাপতি আল্লামা জিয়া উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ হাদী প্রমুখ।
প্রতিনিধি/ এমইউ

