আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন দলের কেন্দ্রীয় সংগঠক ও গাইবান্ধা জেলার প্রধান সমন্বয়কারী নাজমুল হাসান সোহাগ।
নাজমুল হাসান সোহাগ গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মো. আব্দুর রহমান ও মোছা. ছোমেলা রহমান দম্পতির ছেলে। তার বর্তমান ঠিকানা- দক্ষিণ নীলক্ষেত আবাসিক এলাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
বিজ্ঞাপন
তিনি ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন এবং সেখানে এমফিল পর্যায়ে অধ্যয়নরত। পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (চূড়ান্ত বর্ষ)-এর শিক্ষার্থী।
এনসিপি সূত্রে জানা যায়, নাজমুল হাসান সোহাগ ছাত্রজীবন থেকেই সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন ন্যায়সংগত আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক, প্রতিটি ন্যায়সংগত ঢাকা কেন্দ্রিক আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী এবং ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক।
ছাত্র রাজনীতি থেকে জাতীয় রাজনীতিতে পদার্পণ করার পর থেকেই তিনি এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে তিনি একজন তরুণ, উদ্যমী ও জনবান্ধব নেতা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নাজমুল হাসান সোহাগ দীর্ঘদিন ধরে গাইবান্ধা অঞ্চলে এনসিপির সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার এবং তৃণমূল পর্যায়ে দলের অবস্থান সুদৃঢ় করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
তরুণ নেতৃত্ব হিসেবে তিনি স্থানীয়ভাবে জনসম্পৃক্ত ও ইতিবাচক রাজনীতির প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন।
এনসিপির কেন্দ্রীয় দফতরে জানিয়েছে, তৃণমূলের মতামত ও সাংগঠনিক মূল্যায়নের ভিত্তিতে গাইবান্ধা-৩ আসনে নাজমুল হাসান সোহাগকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
দলটির শীর্ষ নেতারা বিশ্বাস করেন- উন্নয়নকেন্দ্রিক চিন্তা, স্বচ্ছ নেতৃত্ব এবং জনগণের কল্যাণে নিবেদিত অঙ্গীকারের মাধ্যমে তিনি এলাকায় উন্নয়ন ও পরিবর্তনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সক্ষম হবেন।
প্রার্থিতা ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়ায় নাজমুল হাসান সোহাগ বলেন, আমি রাজনীতি করি মানুষের সেবা করার জন্য। গাইবান্ধা-৩ আসনের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণই আমার লক্ষ্য। জনগণের ভালোবাসা ও দোয়া পেলে উন্নয়ন ও পরিবর্তনের নতুন অধ্যায় সূচনা করবো।
উল্লেখ্য, সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ী-এ দুই উপজেলা নিয়ে ৩১, গাইবান্ধা-৩ আসনটি গঠিত। এর মধ্যে সাদুল্লাপুর উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ২ লাখ ৭২ হাজার ৫৬৩ ও পলাশবাড়ী উপজেলায় এক পৌরসভা এবং ৭ ইউনিয়নে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৩ জন ভোটারসহ মোট ৫ লাখ ৫ হাজার ৮৯৬ ভোটার রয়েছে বলে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
প্রতিনিধি/এসএস

