নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় ট্রাক চাপায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক ও আরোহীসহ ৬ জন নিহত ঘটনায় ট্রাক চালক আব্দুর জাহেরকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের চিশতিয়া দরবার শরীফের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এর আগে, একই দিন দুপুর পৌনে ২টার দিকে উপজেলার কবিরহাট টু বসুরহাট সড়কের আলিয়া মাদরাসার সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আটক আব্দুর জাহের লক্ষ্মীপুর জেলার চরবাদাম ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব চরশিতা গ্রামের তিতা মিয়া পণ্ডিত বাড়ির মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে।
নিহতরা হলেন, কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অটোরিকশা চালক খোরশেদ আলম খোকন, নোয়াখালী কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তানিম হাসান ও ছাত্রী ইসরাত জাহান, বিবি কুলসুম, জান্নাত ও মো. সুমন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে জেলা শহর মাইজদী থেকে ৫ জন যাত্রী নিয়ে বসুরহাটের উদ্দেশ্যে একটি যাত্রীবাহী সিএনজি রওয়ানা দেয়। যাত্রা পথে সিএনজিটি উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কবিরহাট টু বসুরহাট সড়কের আলিয়া মাদরাসার সামনে পৌঁছলে সিএনজির সামনের এক্সেল ভেঙে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের উল্টো পাশে চলে যায়। ওই সময় বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাক যাত্রীবাহী সিএনজিকে চাপা দিয়ে মুখে করে অন্তত ২০০ মিটার টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়। এতে সিএনজি চালকসহ ৪ জন যাত্রী ঘটনাস্থলে মারা যায়। পরে দুজনকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে। দুর্ঘটনার প্রায় সোয়া ২ ঘণ্টা পর অভিযুক্ত ট্রাক চালককে উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের চিশতিয়া দরবার শরীফের সামনে থেকে তাকে আটক করে কবিরহাট থানার পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহীন মিয়া বলেন, ট্রাক চালককে আটক করতে পুলিশ অভিযানে রয়েছে, এখনো আসেনি। চারটি মরদেহ উদ্ধার করে থানায় এনে রাখা হয়েছে। অপর দুটি মরদেহ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
প্রতিনিধি/ এজে

