বগুড়ার গাবতলীতে ককটেল বানানোর সময় বিস্ফোরণে ঘটনার পর ওই বাড়ি থেকে আরও ৩৯টি ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গত রোববার (২ নভেম্বর) ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে পাঁচটি ককটেল উদ্ধার করে।
বিজ্ঞাপন
পরে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) আবারও অভিযান চালিয়ে আরও ৩৯টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিট এসে বিস্ফোরণের মাধ্যমে এগুলো নিষ্ক্রিয় করে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন- বাড়ির মালিক মুক্তারের ভাই মানিক এবং বিস্ফোরণে আহত আতাউর রহমান সেলিম। সেলিম কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রামপ্রসাদের চর গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, আন্তঃজেলা ডাকাত দলের তত্ত্বাবধানে ওই বাড়িতে ককটেল তৈরি করা হচ্ছিল। বিস্ফোরণের ঘটনায় কুমিল্লা জেলার আতাউর রহমান সেলিম নামের এক ব্যক্তি আহত হন। ঘটনার পর থেকেই এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিজ্ঞাপন
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেরাজুল হক বলেন, স্থানীয় বাদশার নেতৃত্বে এই বিস্ফোরক তৈরির কর্মকাণ্ড চলছিল। প্রথম দিনের অভিযানে আলোর স্বল্পতার কারণে সব ককটেল উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে পুনরায় অভিযান চালিয়ে বাকি ৩৯টি ককটেল উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে এখন পর্যন্ত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কাজ চলছে।
প্রতিনিধি/এসএস
