নেত্রকোনার বারহাট্টায় চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত সুমন মিয়া পলাতক রয়েছেন।
এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে সালিশে মীমাংসার নামে সপ্তাহ ধরে টালবাহানা করছেন এলাকার কয়েকজন।
বিজ্ঞাপন
এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ওই গৃহবধূর পরিবার।
উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামে গত ২৫ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পরে ওই গৃহবধূর চিৎকারে আশপাশের লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
অভিযুক্ত যুবকের নাম সুমন মিয়া (৩২)। তিনি উপজেলার চন্দ্রপুর (পূর্বপাড়া) গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। সুমন বিবাহিত, দুই সন্তানের জনক।
বিজ্ঞাপন
ভুক্তভোগী গৃহবধূ চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানিয়েছে পরিবারের লোকজন।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ঘটনা জানতে চন্দ্রপুর গ্রামে গেলে এলাকার লোকজন জানায়, ওই গৃহবধূ তার শাশুড়ির সঙ্গে ঝগড়া করে ওইদিন সন্ধ্যার পর বাবার বাড়িতে যাওয়ার জন্য একাই গ্রামের রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে রওয়ানা দেন। পথে একই গ্রামের সুমন মিয়া ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন গিয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে বাড়ি পাঠায়।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর ভাশুর ও চাচা শ্বশুরসহ পরিবারের লোকজন জানায়, ভুক্তভোগী গৃহবধূ চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এক বছর আগেই তার বিয়ে হয়েছে। অসুস্থ ছোট বোনকে দেখতে ওইদিন রাতে একাই পায়ে হেঁটে মোহনগঞ্জ হাসপাতালে যাচ্ছিলেন ওই গৃহবধূ। পথে তেলিকুড়ি এলাকায় পথ আটকে গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টা চালায় সুমন। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূ চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
পরিবারের লোকজন আরও জানায়, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্যরা সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি শেষ করার কথা বলে সময় ক্ষেপণ করছে। তারা এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।
ঘটনাস্থলের পাশে থাকা চা দোকানি রুকন মিয়া বলেন, ওই রাতে ঘটনার কিছু সময় আগে আমার দোকানেই চা খেয়েছে সুমন। পরে গিয়ে ওই ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনার পর দ্রুত ঘরে গিয়ে ঘুমানোর অভিনয় করে সুমন। গৃহবধূর মুখে ঘটনার বর্ণনা শুনে স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজন সুমনকে ঘরে থেকে ডেকে আনে। পরে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সুমন ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছে। তবে ঘটনার পরদিন থেকে সুমন এলাকা ছেড়েছে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি (সিংধা ইউনিয়ন) চেয়ারম্যান নাসিম উদ্দিন তালুকদার বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আপোশ বা সালিশ মীমাংসা বিষয়টিও তিনি অস্বীকার করেন।
বিষয়টি অবহিত করলে বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান বলেন, এ বিষয়কে এখনও কেউ কিছু আমাকে জানায়নি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিনিধি/এসএস

