মেহেরপুরের গাংনীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বেলা ১১টায় গাংনী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। এতে মেহেরপুর-১ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন এবং মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে সাবেক এমপি আমজাদ হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। মনোনয়ন ঘোষণার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গাংনী উপজেলায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সাবেক এমপি আমজাদ হোসেনের মনোনয়নের প্রতিবাদে জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকরা গাংনী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে ‘অপ্রত্যাশিত মনোনয়ন মানি না, মানবো না’ বলে স্লোগান দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর গাংনী ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে টহল দেন। পরে মিল্টনের সমর্থকরা বিক্ষোভ করে মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি জানান এবং হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন যে, মনোনয়ন বাতিল না হলে কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকাল থেকে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা নিজ নিজ অফিসের সামনে জড়ো হন। এক পর্যায়ে জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকরা আমজাদ হোসেনের অফিসের সামনে গিয়ে কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। পরে আমজাদ হোসেনপন্থীরা পাল্টা ধাওয়া দিলে মিল্টনপন্থীরা সরে যান। পরে উত্তেজিত কর্মীরা মিল্টনের অফিসের কিছু অংশ ভাঙচুর করে আসবাবপত্র ও সাইনবোর্ডে আগুন ধরিয়ে দেন। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৯টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয় এবং জাভেদ মাসুদ মিল্টনের অফিসে অগ্নিসংযোগ করে। এতে অফিসের সাইনবোর্ড, আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
ঘটনা প্রসঙ্গে সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বলেন, নেতাকর্মীদের হাঙ্গামায় জড়াতে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। তবে কেউ আমার নেতা কর্মীদের ওপর হামলা করলে তা কঠোর হস্তে প্রতিহত করা হবে।
গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, বিএনপির দু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আমিসহ পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছাই, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মাঠে রয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/টিবি

