গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় নিজের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া যুবক রায়হান মিয়ার (২৭) মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০) ভোরবেলায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত রায়হান মিয়া সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের উত্তর ধোপাডাঙ্গা গ্রামের চান মিয়ার ছেলে।
বিজ্ঞাপন
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কয়েক বছর আগে হয় বিয়ে করেছেন রায়হান মিয়া। তার শ্বশুর বাড়ি নিজ ইউনিয়নের বড় দিঘিরপাড় গ্রামে। দুটি সন্তানও আছে পরিবারে। তবে রায়হান মিয়া অনলাইনে জুয়া ও অন্য নারীর প্রতি আসক্ত ছিলেন। মাস দুয়েক আগেও স্থানীয় এক নারীর সঙ্গে অবৈধ মেলামেশা করতে গিয়ে ধরাও পড়েছিলেন তিনি। পরে শাশুড়ির চাপে স্ত্রী আদুরী নিজের গহনা বিক্রি করার টাকা দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ছাড়িয়ে আনেন স্বামীকে। এ ঘটনার কয়েকদিন পরপরই আরেক নারীকে বিয়ে করবেন বলে স্ত্রীকে চাপ দেন রায়হান মিয়া। এতে রাজি হননি স্ত্রী। সে কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় মনমালিন্য। আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেন রায়হান মিয়া। এ অত্যাচারের সহ্য করতে না পেরে সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে বাবার বাড়ি যান আদুরী বেগম।
পরে রায়হান মিয়ার বাবা চান মিয়া ছেলের বউকে আনতে তার বাবার বাড়িতে যান। তখন প্রথমে আদুরী বেগম আসতে চাননি। পরে শ্বশুর জোড়ালো চাপ দিলে রাজি হন তবে কিছু শর্ত দেন। মারধর করতে পারবে না এবং জুয়া খেলা বন্ধ করাতে হবে ছেলের।
এ পরিস্থিতির ক্ষোভে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) নিজের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন রায়হান মিয়া। এতে শরীরে ৯০ ভাগ ঝলছে যায়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোকলেছুর রহমান মন্ডল বলেন, পারিবারিক কলহের অভিমানে নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে রায়হান মিয়ার মৃত্যু হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাকিম আজাদ বলেন, পেট্রোল ঢেলে যুবক মৃত্যুর ঘটনাটি এখনও সঠিক জানা নেই।
প্রতিনিধি/এজে

