শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

জরাজীর্ণ ব্রিজে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

ফরহাদ হোসেন
প্রকাশিত: ০৩ জুলাই ২০২২, ১২:৪৯ পিএম

শেয়ার করুন:

জরাজীর্ণ ব্রিজে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরঠিকা গ্রামের ভুলুয়া নদীর ওপর নির্মিত সেতুর বেহাল দশা বিরাজ করছে। সংস্কারের অভাবে ভেঙে গেছে দুই পাশের রেলিং। খসে পড়েছে পলেস্তার। কয়েকটি স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত।

বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় জরাজীর্ণ এই সেতু দিয়ে প্রতিদিনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাজারো মানুষ চলাচল করছেন। চলছে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ছোট যানবাহনগুলোও। প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা, পঙ্গু হচ্ছেন অনেকে। যেকোনো মুহূর্তে সেতুটি ধসে পড়ে বড় ধরনের হতাহতের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।


বিজ্ঞাপন


জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার ফজুমিয়ার হাট ও নোয়াখালী জেলার সংযোগ সড়ক চরঠিকা এলাকায় অবস্থিত ভুলুয়া নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি বেহাল অবস্থায় রয়েছে। প্রায় দুই যুগ আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সেতুটি নির্মাণ করে।

স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে সেতুটি। প্রায় ৩ বছর আগে সেতুটির ৫-৬ স্থানে পাটাতান ভেঙে গেছে। রেলিং ভেঙে গেছে বহু আগে। ভাঙা স্থানে কাঠের গুঁড়ি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে কোনোমতে চলাচল করছেন স্থানীয়রা। জরাজীর্ণ এ সেতু দিয়ে বর্তমানে বড় ধরনের কোনো যানবাহন চলছে না। তবে শতশত ছোট যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

setu

চর বসু এলাকার মহি আলম নামে এক রিকশাচালক বলেন, ‘কয়েকদিন আগে রাতের বেলা সেতুটি পার হচ্ছিলাম। হঠাৎ একটি চাকা গর্তে পড়ে রিকশাটি উল্টে নদীতে পড়ে যায়। এতে আমার বাম পা ভেঙে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলো রিকশাটি।’


বিজ্ঞাপন


সেতুর পাশে সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের শতাধিক ঘরের বাসিন্দা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী ও যাত্রীরা প্রতিনিয়ত এ সেতু দিয়ে পারাপারে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। একইসঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ ও নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন দুই পাড়ের বাসিন্দারা।

স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যান, ইউএনও এবং প্রশাসনিক উচ্চ প্রদস্থ কর্মকর্তারাও সেতুটি দিয়ে চরঠিকা আশ্রয়ণ কেন্দ্রে আসা যাওয়া করেন। কিন্তু কেউ এখনো পর্যন্ত সংস্কার কিংবা নতুন ব্রিজ নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেননি। দীর্ঘদিন থেকে সবাই শুধু মুখেই বলে, ব্রিজ নির্মাণের টেন্ডার হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে নতুন ব্রিজ হয়ে যাবে। কথাগুলো আক্ষেপ করে প্রতিবেদককে বলেছেন চরঠিকা গ্রামের বাসিন্দা শামছুল ইসলাম।  

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর লক্ষ্মীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ আলম পাটওয়ারী জানান, ভুলুয়া সেতুতে ঝুঁকিপূর্ণ চলাচলের দুর্ভোগে রয়েছে মানুষ। ওই স্থানে একটিসহ নতুন দুইটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা অনুমোদনের পর ৪ কোটি টাকার টেন্ডার প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে। খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে।

টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর