নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, হাতিয়ার মানুষ রাজনীতির শিকার, রাজনৈতিক লোকজন এসে যেভাবে ঘাট দখল করে, এটাকে নিজেদের সম্পত্তি মনে করে। সামনের দিকে তা হতে দেবেন না। সরকার এ বছর হাতিয়াকে উপকূলীয় নদী বন্দর হিসেবে ঘোষণা করেছে, গেজেটও প্রকাশ হয়েছে। আজ অফিশিয়ালি হাতিয়াকে আবারও নদীবন্দর ঘোষণা করলাম। অন্তর্বর্তী সরকার তো আর ৫ বছর থাকবে না, এখন শুরু করে দিলাম। পরবর্তী সরকার এসে বাকি কাজ চালিয়ে নেবে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নলচিরা নৌ-ঘাট পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
নৌ-উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, হাতিয়া দ্বীপের মানুষ যুগ যুগ ধরে ট্রলার, সিট্রাক এবং স্পিডবোটে করে চলাফেরা করে আসছে। ফেরি ও নদীবন্দর তাদের দীর্ঘদিনের দাবি। ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা ফেরির ব্যবস্থা করব। এবং নদীবন্দরের বিষয়ে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালানো হবে।
তিনি বলেন, এতো রাজনৈতিক সরকার গেল- কিন্তু হাতিয়াকে নদীবন্দর ঘোষণা করতে পারল না।
হাতিয়ার ঢালচর নিয়ে মনপুরার দীর্ঘদিনের বিবদমান সমস্যার বিষয়ে তিনি বলেন, ধানকাটার মৌসুম এলে সেখানে মারামারি সৃষ্টি হয়। এ মারামারি উচিত নয়। চরটির সমস্যা নিয়ে নোয়াখালী এবং ভোলার ডিসি ব্যবস্থা নেবেন।
এদিকে, নলচিরা ঘাটে নদীবন্দর স্থাপনের বিষয়ে ঘাট এলাকা মার্কিংসহ আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা গ্রহণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন তিনি।
এছাড়া, হাতিয়ার ঘাটসমূহে ইজারাদারদের জুলুম-হয়রানি এবং মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায়েট বিষয়ে উপস্থিত জনতা ক্ষোভ জানালে- উপদেষ্টা তা (ইজারা সম্পূর্ণভাবে) বাতিলের ঘোষণা দেন।
এসময়, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মো. সলিম উল্লাহ, হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, হাতিয়া দ্বীপের সম্মিলিত সামাজিক সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, রাজনৈতিক, সাংবাদিক ও বিভিন্ন পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে তিনি মনপুরা উপজেলার চর কলাতলি এবং হাতিয়ার ঢালচর ঘাট পরিদর্শন করেন। পরে কোস্টগার্ডের স্পিডবোটে করে হাতিয়ার নলচিরা ঘাটে এসে পৌঁছেন।
প্রতিনিধি/এসএস

