মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

পাগলা মসজিদের সিন্দুকে মিলল ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০২ জুলাই ২০২২, ০৭:৪৫ পিএম

শেয়ার করুন:

পাগলা মসজিদের সিন্দুকে মিলল ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানসিন্দুক থেকে এবার পাওয়া গেল ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ টাকা। আজ শনিবার (২ জুলাই) বিকেলে গণনা শেষে এই টাকার হিসাব পাওয়া যায়। এই নগদ টাকা ছাড়াও দান হিসেবে বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা এবং সোনার বেশ কিছু অলংকার পাওয়া গেছে। ৩ মাস ২০ দিন পর আজ পাগলা মসজিদের ৮টি সিন্দুক খুলে এ বিপুল পরিমাণ অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী পাওয়া গেছে।

এর আগে সর্বশেষ গত ১২ মার্চ দানসিন্দুক খোলা হয়েছিল। তখন সর্বোচ্চ ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। সে সময় নগদ টাকা ছাড়াও বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা ও বেশ কিছু স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়।


বিজ্ঞাপন


শনিবার সকাল ৮টায় মসজিদ কমিটি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বাক্সগুলো খোলা হয়। বস্তা থেকে টাকা বের করে মসজিদের দোতলায় ঢেলে চলে গণনার কাজ। পাগলা মসজিদের নিজস্ব মাদরাসার দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী ও রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা কঠোর নিরাপত্তায় টাকা গণনায় অংশ নেন। 

প্রতি তিন মাস পর পর এ সিন্দুকগুলো খোলা হয়। এবার সময় নির্দষ্ট সময়ের ২০ দিন পর দান সিন্দুকগুলো খোলা হয়। জেলা প্রশাসক মো.শামিম আলম টাকা গণনা শেষে নগদ অর্থের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

এবার আটটি দান বাক্স খুলে পাওয়া গেছে ১৬ বস্তা টাকা, বিভিন্ন স্বর্ণালঙ্কার ও বৈদেশিক মুদ্রা। মসজিদের দায়িত্বশীল, এলাকাবাসী ও দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজন সূত্রে জানা যায়, এখানে মানত করলে মনের বাসনা পূর্ণ হয়- এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এখানে দান করে থাকেন।

মসজিদে নগদ টাকা-পয়সা, স্বর্ণ ও রূপার অলঙ্কারের পাশাপাশি গরু ছাগল, হাঁস-মুরগি দান করেন। বিশেষ করে প্রতি শুক্রবার এ মসজিদে মানত নিয়ে আসা বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের ঢল নামে। কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম একটি স্থাপনা। 


বিজ্ঞাপন


শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে এই মসজিদটি গড়ে উঠেছিল। এ মসজিদের বিস্তারের সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি। মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এখানে। দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইতোমধ্যে স্বীকৃতি পেয়েছে এ মসজিদটি। মসজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতে অর্থ ব্যয় করা হয়ে থাকে বলে জানান মসজিদের একজন খাদেম।

প্রতিনিধি/ একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর