সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

রাবির চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগে শাটডাউন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, রাবি
প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:০২ পিএম

শেয়ার করুন:

রাবির চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগে শাটডাউন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগে তিন দফা দাবিতে টানা তিন দিনের শাটডাউন কর্মসূচি নতুন দিকে মোড় নিয়েছে। বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধনসহ তিন দফা দাবি আদায় না হওয়ায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিভাগীয় চেয়ারম্যানের পদত্যাগের এক দফা দাবি যুক্ত করে আন্দোলন আরও তীব্র করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।


বিজ্ঞাপন


আন্দোলনে তাদের স্লোগান ছিল, ‘দফা এক দাবি এক, চেয়ারম্যানের পদত্যাগ’; ‘এক দুই তিন চার, চেয়ারম্যান তুই গদি ছাড়’; ‘বহিরাগত চেয়ারম্যান, মানি না, মানবো না’; ‘সাইকোলজির আধিপত্য, মানি না, মানবো না’;
‘বৈষম্য নিপাত যাক, সিন্ডিকেট মুক্তি পাক’; ‘সাইকোলজির আধিপত্য, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’; ‘ক্লিনিক্যালের বাংলায় সাইকোলজির ঠাঁই নাই’; ‘ডিপার্টমেন্টে রাজনীতি চলবে না, চলবে না’—সহ নানান।

এ সময় ছেঁড়া শার্ট-প্যান্ট পড়ে, এক হাতে সার্টিফিকেট এবং অন্য হাতে মুলা নিয়ে প্রতীকী আন্দোলন করতে দেখা যায় বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ ইমনকে। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিভাগের একদিকে চাকচিক্য আছে, অন্যদিকে অন্ধকার। বিভাগের বর্তমান অগ্রগতিতে এই বিভাগের সার্টিফিকেট দিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ জীবন অন্ধকার হয়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত এমনও হতে পারে যে, আমরা মুলা ঝুলতে দেখতে পাবো।’

আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি আকিল বিন তালেব বলেন, ‘আজ যেখানে আমাদের ক্লাসরুমে থাকার দরকার ছিল, সেখানে গণ-অভ্যুত্থানের পরেও আমাদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে টানা ৩ দিন রাজপথে থাকতে হচ্ছে—এটি সত্যিই দুঃখজনক। আমরা সবাই জানি, এই প্রশাসন একটি বিপ্লবী প্রশাসন। গত দুই দিন ধরে যে আন্দোলন চলছে, এর অযৌক্তিকতা কোথায়? কেন তারা যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিচ্ছে না? একটি বিভাগ প্রতিষ্ঠার ১০ বছর হয়ে গেছে, সেখানে যথেষ্ট কোয়ালিফায়েড শিক্ষক না থাকলে আর অন্য বিভাগ থেকে শিক্ষক এনে পড়াতে হয়, তাহলে এই বিভাগের প্রয়োজনীয়তা কী?’

এ বিষয়ে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এনামুল হক বলেন, ‘আমি গত পরশুদিন ছুটিতে ছিলাম। গতকাল বিভাগে এসেই শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে কথা বলেছি। তাদের পূর্বের দাবিগুলো নিয়ে আমি উপাচার্যের কাছে গিয়েছি। শিক্ষার্থীদের সকল দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে, তবে এগুলো একটু সময়সাপেক্ষ। সাবজেক্ট কোডের বিষয়টি পিএসসি এবং ইউজিসির বিষয়, এখানে চাইলেই চেয়ারম্যান বা উপাচার্য কিছু করতে পারে না। শিক্ষার্থীরা চেয়ারম্যানের পদত্যাগের যে দাবি তুলেছে তা সম্পূর্ণই অযৌক্তিক।’


বিজ্ঞাপন


উল্লেখ্য, আন্দোলনে বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এ সময় চেয়ারম্যান কথা বলতে এগিয়ে এলেও শিক্ষার্থীরা তাকে উপেক্ষা করে স্লোগান দিতে থাকেন।

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর