প্রথমে দলবল নিয়ে করা হলো ভাঙচুর, এরপর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কার্যালয় দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) এমন ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার নিউ মার্কেট মোড়ের দোস্ত বিল্ডিংয়ে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়রা জানান, এদিন বিকেলে ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি দল দোস্ত বিল্ডিংয়ে এসে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এরপর তারা ভবনটিতে থাকা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও মুজিব সেনা কার্যালয়ে অবস্থান নেয়। তাদের হাতে ছিল হকিস্টিক ও লাঠিসোটা।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল করিম বলেন, ‘রাতে খবর পেয়েছি, ঘটনাটি যাচাই করছি। এখন পর্যন্ত কেউ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দেয়নি।’
অভিযোগের বিষয়ে এনসিপির চট্টগ্রাম মহানগর সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী আরিফ মঈনুদ্দিন দাবি করেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ভবনটি দখল করে রেখেছিল। সরকার পরিবর্তনের পর কিছুদিন কার্যালয়টি বন্ধ থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্যরা রাতে এখানে মিটিং করত।’
তিনি আরও জানান, ‘৩৬ জুলাই’ নামের একটি সংগঠন মঙ্গলবার ভবনটি তল্লাশি চালিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা ও ইন্দিরা গান্ধীর ছবি, বিছানা, টেবিল-চেয়ার ও পানির বোতল উদ্ধার করে।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, দোস্ত বিল্ডিং নামে ভবনটিতে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মোট ৪১টি কার্যালয় রয়েছে। ভবনটির প্রকৃত মালিক একজন বিহারী, যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশত্যাগ করেন। পরে ভবনটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দখল করে নিজেদের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।
১৯৯১ সালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ভবনটি জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে লিজ দিলেও আইনি জটিলতার কারণে তিনি দখল নিতে পারেননি। বর্তমানে ভবনটির মালিকানা নিয়ে একাধিক মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। তার মধ্যেই এনসিপির বিরুদ্ধে উঠল দখলের অভিযোগ।
এএইচ

