জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের গাইবান্ধা জেলা শাখার সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাঘাটা উপজেলা সভানেত্রী মৌসুমী আকতার মিষ্টিকে জড়িয়ে ফেসবুকে অপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারের অভিযোগ তুলেছেন এই নেত্রী।
সোমবার (২০ অক্টোবর) স্থানীয় সাংবাদিকদের বিষয়টি করেছেন মৌসুমী আকতার মিষ্টি।
বিজ্ঞাপন
মৌসুমী আকতার মিষ্টি গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ী ইউনিয়নের বাদিনারপাড়া গ্রামের মোজাফ্ফর হোসেনের মেয়ে।
এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন মিষ্টি।
জিডিতে মিষ্টি উল্লেখ করেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং পাশাপাশি একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে ‘জীবন ও দেশ উন্নয়ন সংস্থা’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অসহায় ও গ্রামীণ নারীদের নিয়ে কাজ করছেন। কিন্তু একটি প্রভাবশালী মহল রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ঈর্ষা থেকে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা কাহিনি সাজিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তার অভিযোগ, সম্প্রতি নামে–বেনামে একাধিক ফেসবুক আইডি থেকে হতদরিদ্র নারীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সাজানো অভিযোগ প্রচার করা হচ্ছে। এমনকি আমার ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও বিকৃতভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, যা আমার সম্মান, সুনাম ও মানসিক নিরাপত্তাকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করেছে।
বিজ্ঞাপন
ভুক্তভোগী মৌসুমী আকতার মিষ্টি আরও বলেন, আমি সবসময় রাজনীতির মাঠে সক্রিয় থেকেছি এবং দলের দুর্দিনে নির্যাতন সহ্য করেছি। তবুও একটি গোষ্ঠী ঈর্ষান্বিতভাবে আমাকে রাজনৈতিকভাবে কলঙ্কিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এতে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো তোলা হচ্ছে— সবই মিথ্যা ও বানোয়াট। কেউ যদি দাবি করে আমি কারও কাছ থেকে টাকা নিয়েছি, প্রমাণসহ প্রকাশ্যে আসুক। আমি তার অর্থ ফেরত দিতে প্রস্তুত। কিন্তু গোপন অপপ্রচার মেনে নেব না— প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নেব।
এর আগের ঘটনা উল্লেখ করে মিষ্টি বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরেও তাকে নিয়ে নানা অপপ্রচার ও হুমকির ঘটনা ঘটে। সে সময় তিনি ঘটনাটি পুলিশ ও দলের জেলাসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছিলেন। এছাড়া গত ৫ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিকার দাবি করলেও কোনো সাড়া মেলেনি। বরং সম্প্রতি নতুনভাবে নানা ধরনের অপপ্রচার শুরু হয়েছে।
গাইবান্ধা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান বলেন, মৌসুমী আক্তার মিষ্টির দায়ের করা একটি জিডির তদন্তের দায়িত্বে আছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রতিনিধি/এসএস

