ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউটিউব দেখে পতিত জমিতে বস্তায় আদা চাষ করে বাজিমাত করেছেন এক যুবক। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের দামচাইল গ্রামের আবু সায়েদের ছেলে আশরাফুল ইসলামের বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষে আগ্রহ বাড়ছে স্থানীয় কৃষকদের মাঝেও।
আশরাফুল ইসলাম জানান, ‘মোবাইলে ইউটিউবে অনেক কিছু দেখার মধ্যে হঠাৎ বস্তায় আদা চাষ পদ্ধতি দেখতে পাই। পরে ইউটিউবে বস্তায় আদা চাষ পদ্ধতি ভালো করে দেখি। এটা দেখে আমার মধ্যে একটা ইচ্ছা জাগে, আমিও তো পতিত জায়গায় বস্তায় আদা চাষ করতে পারি। পরে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অয়ন দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁর দেওয়া পরামর্শ ও ইউটিউব দেখে বস্তায় আদা চাষাবাদ করি। আদা চাষের সকল উপকরণ কৃষি অফিস থেকে দেওয়া হয়। কিছু দিনের মধ্যেই বস্তা থেকে আদাগুলো তোলা হবে। আশা করছি ভালো ফলন হবে।’
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও জানান, ‘প্রাথমিকভাবে ৩০টি বস্তায় আদা চাষ করা হয়েছে। আগামীতে আরও বেশি বস্তায় আদা চাষ করব।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অয়ন দাস জানান, ‘আশরাফুল ইসলাম ইউটিউবে বস্তায় আদা চাষ দেখে উৎসাহিত হয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে সদর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ছায়াযুক্ত স্থানে বস্তায় আদা চাষ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে সে ৩০টি বস্তায় আদা চাষ করেছে। আগামীতে সে আরও বড় পরিসরে করবে বলে আশাবাদী।’
সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগম জানান, ‘আদা একটি মসলা জাতীয় ফসল। এই পদ্ধতিতে আদা চাষে জমির চেয়ে রোগবালাইয়ের আক্রমণ কম হয়। বস্তায় আদা চাষে কীটনাশক এবং পানি অনেক কম লাগে। ফলে যেকোনো স্থানে এভাবে আদা চাষ করা সম্ভব। পাশাপাশি কেউ চাইলে বাসার ছাদে, ব্যালকনিতে এবং বাড়ির সামনে পরিত্যক্ত স্থানেও চাষ করা যায়।’
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও জানান, ‘বস্তার মধ্যে আদা চাষের জন্য বস্তায় চার ভাগের দুই ভাগ দোআঁশ মাটি, এক ভাগ ছাই ও এক ভাগ ভার্মি কম্পোস্ট ব্যবহার করতে হয়। ছায়াযুক্ত স্থানে স্বল্প পরিসরে এই চাষের মাধ্যমে নিজেদের আদার চাহিদা মেটানো সম্ভব। কেউ যদি এভাবে আদা চাষ করতে চায়, তাহলে আগ্রহীদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হবে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে। এ বছর সদর উপজেলায় ৬ হাজার বস্তায় আদা চাষ করার জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।’
প্রতিনিধি/একেবি
