প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি বদলে দিয়েছে মানুষের বিনোদনের ধরণ। এক সময় ঘরে ঘরে ছিল সাদা-কালো কিংবা রঙিন বড় বাক্সের টেলিভিশন, যা ছিল বিনোদনের প্রধান মাধ্যম। কিন্তু যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখন সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে স্মার্টফোন, স্মার্ট টিভি এবং নানা রকম আধুনিক ইলেকট্রনিক গ্যাজেট।
ফলে পুরনো দিনের টেলিভিশনের ব্যবহার দ্রুত কমে যাচ্ছে। শহর তো বটেই, গ্রামাঞ্চলেও মানুষ এখন ইউটিউব, ফেসবুক কিংবা অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে বিনোদন খুঁজে নিচ্ছে। টিভি চ্যানেলের প্রতি আগ্রহ অনেকটাই কমে গেছে।
বিজ্ঞাপন
এই পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন পুরনো ধাঁচের টেলিভিশন সার্ভিসিং মেকানিকরা। এক সময় সার্ভিসিং দোকানে সারি সারি টেলিভিশন মেরামতের কাজ চলত, এখন সেখানে বসে থাকে এক-দু’টি কাজ মাত্র, অনেক সময় তাও থাকে না। ফলে আয়ের পথ সংকুচিত হয়ে পড়ছে।
![]()
নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৩০ বছরের অভিজ্ঞ টেলিভিশন মেকানিক নূরুল ইসলাম বলেন, এক সময় দিনে ৮-১০টা টিভি সার্ভিস করতে হতো। এখন মাসে ৩-৪টার বেশি আসে না। সবাই স্মার্টফোনে ভিডিও দেখে, পুরনো টিভি নষ্ট হলে কেউ আর মেরামত করায় না।
নীলফামারীর চৌরাজ্ঞী মোড়ে সাভিসিং করে খোকন রায়, তিনি বলেন, আমি যখন কাজ শিখি এবং কাজ করি তখন কাজের অভাব ছিল না। প্রতিদিন কাজের ওপর কাজ। কাজ আর কাজ। আর এখন সবাই স্মার্ট ফোন আর স্মার্ট টিভি ব্যবহার করছে। স্মার্ট টিভি নষ্ট হলে কোম্পানির কাছে পাঠিয়ে দেয়। এখন যা অল্প কিছু মানুষ টিভি ব্যবহার সেগুলো আসে। মাঝে মধ্যে কিছু এলইডি টিভি আসে এভাবে কোনো রকমে যাচ্ছে জীবন।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে নীলফামারী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সাজেদুল ইসলাম বলেন, আমরা যখন ক্লাস ৩-৪ পড়তাম তখন আলিফ লায়লা, ইত্যাদি, সিনবাদসহ শক্রবারের সিনেমা দেখার জন্য অধির আগ্রহ নিয়ে বসে থাকতাম। এখন মোবাইলেই সব কিছু পাওয়া যায়, তাই টিভির প্রতি চাহিদা কমে গেছে।
প্রতিনিধি/এসএস

