ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পুলিশ হেফাজতে যুবক আব্দুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় এসআইকে বরখাস্তসহ গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
সুরতহাল প্রতিবেদনে শরীরে স্পষ্ট আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রিন্স সরকার। তিনি জানান, নিহতের কপাল ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। এই ঘটনার প্রধান আসামি এসআই মহিউদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্তের পর গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। লোমহর্ষক হৃদয়বিদারক ঘটনার তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে মামলার বাদী নিহতের ছোট ভাই সাকিল মিয়া চারজনের নাম উল্লেখ করে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নবীনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন- সলিমগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মহিউদ্দিন, রাব্বি, মাসুদ রানা ও তবি মিয়া। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ২০–২৫ জনকে আসামি করা হয়। পরিবার এবং এলাকাবাসীর অভিযোগ নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসিকে জানিয়েই মোটা অঙ্কের টাকার মাধ্যমে আব্দুল্লাহকে চারদিন ধরে সলিমগঞ্জ ফাঁড়িতে আটকে রাখে সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মহিউদ্দিন।
বিজ্ঞাপন
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ওবায়দুর রহমান জানান ঘটনার পর এসআই মহিউদ্দিনকে সোমবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. এহতেশামুল হক জানান, এ ঘটনায় এক পুলিশ সসদ্যসহ চার জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। পাশাপাশি সব আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
প্রতিনিধি/এসএস

