রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

মব সৃষ্টি করে ডাকাত সাজিয়ে কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল
প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৩ পিএম

শেয়ার করুন:

মব সৃষ্টি করে ডাকাত সাজিয়ে কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

বরিশালে ‘ডাকাত’ আখ্যা দিয়ে মসজিদে মাইকিং করে মব সৃষ্টি করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাতভর মারধর ও পিটিয়ে কৃষক সোহেল খানকে (৩৫) হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরকবাই এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।


বিজ্ঞাপন


বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জমি বিক্রিতে রাজি না হওয়ায় স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি শনিবার দিনগত রাতে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বলে দাবি সোহেলের স্ত্রী সাজেদার।

হত্যার শিকার সোহেল বাকেরগঞ্জের চরকবাই এলাকার নুর ইসলাম খানের ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, শনিবার রাতে মসজিদের মাইকে মাইকিং করে সোহেলকে ডাকাত বলে প্রচার করা হয়। পরে তাকে আটক করে গণপিটুনি দেওয়া হয়। রাতেই তার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তাদের দাবি, সোহেল খান গণপিটুনির (মব) শিকার হয়েছেন।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন

ব্যবসায়ীর কোমরে পিস্তল সদৃশ বস্তু ঠেকিয়ে চাঁদা দাবি, অতঃপর...

হত্যার শিকার কৃষক সোহেলের স্ত্রী সাজেদা বেগমের দাবি, ক’দিন আগে আমার স্বামীর কাছে তরমুজ চাষের জন্য জমি কিনতে চায় স্থানীয় শাহিন হাওলাদার, তার ভাই ফিরোজ হাওলাদারসহ কয়েকজন। জমি বিক্রি না করায় শনিবার দিনগত রাতে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে নিয়ে আমার স্বামীকে ডাকাত আখ্যা দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।

হত্যার শিকার সোহেলের মেয়ে ফাতেমা আক্তার বলেন, গত বছর অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কাছে আমার বাবা তরমুজ চাষের জন্য জমি বর্গা দেন। সেই বছর তরমুজের লাভের টাকা আমার বাবাকে না দেওয়ায় এই বছর জমি দিতে রাজি হননি। আমার নির্দোষ বাবাকে যারা হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ট্রিপল নাইনে ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ডাকাত আটক করার খবর পেলেও গিয়ে সোহেলের মরদেহ উদ্ধার করি। হত্যার পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষেয়ে অভিযুক্ত শাহিন হাওলাদার বা তার ভাই ফিরোজ হাওলাদার এলাকায় না থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এমনকি তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর