লক্ষ্মীপুরে রাশেদা বেগম (৬৫) নামে এক বয়োবৃদ্ধ নারীকে ঘরে ঢুকে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তার প্রতিবেশী বখাটে যুবক ইমন হোসেন। এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ স্বজনরা ইমনের পরিবারের বসতঘরে ভাঙচুর চালায়।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আখতার হোসেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে, ভোরবেলা শহরের জেলা স্টেডিয়ামের পূর্ব পাশে হাবিব উল্লাহ কেরানী বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ঘরের ভিতর থেকে অভিযুক্ত ইমনকে আটক করে।
নিহত রাশেদা বেগম হাবিব উল্লাহ কেরানী বাড়ির মৃত মোবারক উল্লাহর স্ত্রী। তিনি তিন মেয়ে ও এক ছেলের জননী। তার ছেলে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কর্মরত। মেয়েরা বিবাহিত এবং স্বামীর বাড়িতে থাকেন। রাশেদা বেগম নিজেই একা বসবাস করতেন ওই ঘরে।
অভিযুক্ত ইমন পাশের মিঝি বাড়ির বাসিন্দা সেলিমের ছেলে।
নিহতার দুই মেয়ে নূর নাহার সাথী ও কামরুল নাহার লিপি। তারা সাংবাদিকদের জানান, ‘গতকাল আমাদের মা প্রতিবেশী ইমনকে দিয়ে গাছ থেকে সুপারি পাড়িয়েছিলেন। সে আমাদের বাড়িতে এলে মা তাকে শরবত খাওয়ান এবং তার পারিশ্রমিকও পরিশোধ করেন। কী কারণে ইমন হঠাৎ মাকে এভাবে হত্যা করলো, তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দাবি করছি।’
বিজ্ঞাপন
এলাকাবাসীরা জানান, ভোরবেলা ইমন রাশেদা বেগমের ঘরে ঢুকে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। রাশেদা বেগম চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। তারা ঘরের দুই পাশে দরজা আটকে দিয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতর থেকে ইমনকে আটক করে।
নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. আখতার হোসেন জানান, ‘ঘাতক ইমনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তদন্ত চলছে।’
প্রতিনিধি/একেবি

