ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন দুদকের সমন্বিত ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আজমির শরিফ মারজীর নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম।
বিজ্ঞাপন
অভিযান চলাকালে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় অফিসের কার্যক্রম, রেজিস্ট্রিকৃত দলিল ও অন্যান্য নথিপত্র পর্যালোচনা করেন দুদক কর্মকর্তারা। তবে বড় ধরনের কোনো অনিয়মের প্রমাণ মেলেনি বলে জানান তারা।
অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আজমির শরিফ মারজী সাংবাদিকদের বলেন, বাজারমূল্যে জমি রেজিস্ট্রি না করায় সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। আবার অসাধু ব্যক্তিরা উচ্চমূল্যের জমি কম মূল্যে রেজিস্ট্রি করে সুবিধা নিচ্ছেন। পৌরসভার আওতাভুক্ত জমির দলিল করার সময় আয়কর প্রত্যয়নপত্র নেওয়া বাধ্যতামূলক হলেও কয়েকটি দলিলে এ নথি পাওয়া যায়নি। তবে বায়নানামা রেজিস্ট্রি যথাযথভাবে সংরক্ষিত আছে।
তিনি আরও বলেন, জমি রেজিস্ট্রিকরণে স্বচ্ছতা আনতে দুদকের নিয়মিত তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। অনিয়ম রোধ ও সরকারি রাজস্ব সুরক্ষার স্বার্থে এসব কার্যক্রম ভবিষ্যতেও পরিচালনা করা হবে।
বিজ্ঞাপন
অভিযান সম্পর্কে রানীশংকৈল উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মো. নাহিদুল ইসলাম বলেন, দুদকের একটি দল আমাদের অফিসে এসে তল্লাশি চালায় এবং সেবাপ্রার্থী ও স্টাফদের সঙ্গে কথা বলেন। আমরা সব কাজ নিয়ম মেনে গুরুত্বসহকারে করার চেষ্টা করি। দুদক যে অনিয়মের কথা উল্লেখ করেছে তা খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলাজুড়ে জমি রেজিস্ট্রিকে ঘিরে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা প্রমাণের বাইরে থেকে যায়। দুদকের হঠাৎ এ অভিযানে এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়ে। তবে অভিযানে বড় ধরনের অনিয়মের প্রমাণ না মেলায় অনেকেই স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
প্রতিনিধি/এজে

