বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের একমাত্র রক্ষক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। কিছু রাজনৈতিক দল পিয়ার নামক উদ্ভট এক পদ্ধতির মাধ্যমে এদেশে নির্বাচন চায়। কিন্তু তারা নিজ এলাকায় নির্বাচন জিততে পারবে না। এজন্য তারা পিয়ার চায়।
রোববার (২১ সেপ্টম্বর) বিকেল ৩টায় রুপসা উপজেলার পূর্ব রূপসা বাসস্ট্যান্ডে এয়োদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনের রোডম্যাপ ঘোষনা করায় বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে স্বাগত জানিয়ে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত নির্বাচনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
ডাকসু জাকসু নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে হেলাল বলেন, বিগত দিনে গুপ্ত সংগঠন ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় থেকে নিজেদের শক্তিশালী করেছে। ৫ আগস্টের পরে তারা তাদের পরিচয় উন্মুক্ত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ দখল করতে পতিত ফ্যাসিবাদী ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবির একাকার হয়ে গেছে। নানান কূট কৌশল করে তারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ দখল করেছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন অঞ্চলগুলোতে জামায়েত অপরাধনীতি শুরু করেছে। বিএনপিকে মেধার সাথে তাদের মোকাবেলা করতে হবে।
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে লুটপাট হত্যাযজ্ঞ রাহাজানি নানা অপরাধে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া স্বাভাবিক ছিল। এবং সেই মামলাগুলো করার কথা পুলিশের । কিন্তু এখনও পর্যন্ত ফ্যাসিস্টদের সাজানো প্রশাসন কাজ করছে। ফলে জুলুম নির্যাতনকারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সে অর্থে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। তারা সাধারণ জনগণকে দিয়ে মামলা করাচ্ছে।
শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতে বসে শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্র থেমে নাই। এস আলম নামক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটি ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি তথা এই সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে। এই সরকারকে ব্যর্থ করতে তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। তাই সচেতন রাজনৈতিক ব্যক্তি ও দেশবাসীকে সচেতন থাকতে হবে।
বিজ্ঞাপন
ভবিষ্যতে দেশ পরিচালনার জন্য যে জুলাই সনদ তৈরি করা হয়েছে কিছু দল তার বাস্তবায়ন ছাড়া নির্বাচনে যেতে আগ্রহী নয়। কিন্তু বাস্তবায়নের জন্য আইনি প্রক্রিয়া জরুরি। এজন্যই সংসদের মাধ্যমে তার আইনি ভিত্তি দিতে হবে। তারা রাজপথে নেমেছে পিয়ার আদায়ের জন্য। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, তারা কার বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছে, বিএনপির বিরুদ্ধে? না তারা বিএনপির বিরুদ্ধে নামে নাই তারা নেমেছে জুলাই আন্দোলনের ফসল এই সরকারের বিরুদ্ধে। আবু সাঈদ মুগ্ধ ওয়াসিমদের রক্তের ওপরে গড়ে ওঠা ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধেই।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোল্লা সাইফুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব জাভেদ হোসেন মল্লিকের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নগর বিএনপির সভাপতি এড. এস এস শফিকুল আলম মনা, সাধারণ সম্পাদক সফিকুল আলম তুহিন, জেলা বিএনপির আহবায়ক মনিররুজ্জামান মন্টু, সদস্য সচিব শেখ আবু হোসেন বাবু,জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক এ্যাড, মোমরেজুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী, যুগ্নআহবায়ক খান জুলফিকার আলী জুলু, যুগ্ন-আহবায়ক মোল্লা খায়রুল ইসলাম, শেখ তৈয়েবুর রহমান, জেলা যুবদলের আহবায়ক ইবাদুল হক রুবায়েদ, সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আতাউর রহমান রুনু, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব শেখ নাদিমুজ্জামান জনি, গোলাম মোস্তফা তুহিন, সেতারা সুলতানা, এ.কে আজাদ আমিন, শেখ মাহমুদ আলম লোটাস, মোল্যা সাইফুর রহমান প্রমুখ
প্রতিনিধি/ এজে

