যশোরের শার্শা উপজেলায় জালিয়াতি ও জোরপূর্বক একটি পেট্রোল পাম্প দখলের অভিযোগ উঠেছে। আনোয়ার হোসেন ওরফে আইনাল নামে এক বিএনপি নেতা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এবং জাল দলিল তৈরি করে পাম্পটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
রবিবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলা হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য তনিমা তাসনুমা।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, তার বাবা গোলাম কিবরিয়া ১৯৯৫ সালে বাগআঁচড়া মৌজার ২৮৬৫ নম্বর খতিয়ানের ৩৩৭৪ নম্বর হাল দাগের ১৭ শতক জমি ক্রয় করে ‘মেসার্স গোলাম কিবরিয়া ফিলিং স্টেশন’ স্থাপন করেন এবং দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। ২০২২ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করলে, ২০২৩ সাল থেকে বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ও তাঁর সহযোগীরা জাল দলিল তৈরি করে একাধিকবার পেট্রোল পাম্পটি দখলের চেষ্টা চালান।
তনিমা তাসনুমা আরও জানান, সর্বশেষ আনোয়ার হোসেন একজন বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে একটি হস্তান্তর চুক্তিনামা তৈরি করেন। এই ঘটনায় একটি জাল দলিল সংক্রান্ত মামলা তিনি করেছেন এবং স্বাক্ষর জালিয়াতির ঘটনায় বিচারক নিজেও বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলাগুলো চলমান থাকলেও আনোয়ার ও তাঁর লোকজন পাম্প দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সবশেষ ১৯ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সকালে তাঁরা পাম্পে প্রবেশ করে চাবি ও সব ধরনের কাগজপত্র ছিনিয়ে নেন এবং ম্যানেজারকে পাম্প থেকে বের করে দেন। বিষয়টি জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তনিমা তাসনুমা অভিযোগ করেন, আনোয়ার হোসেন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এখনও পাম্প দখলের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় তাঁরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
বিজ্ঞাপন
অভিযোগ অস্বীকার করে আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি ৬ কোটি ৮ লাখ টাকা দিয়ে জমি ও পাম্পটি ক্রয় করেছেন এবং ১৯৯৯ সাল থেকে ফিলিং স্টেশনটি পরিচালনা করছেন। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত পাম্পটি তাঁর দখলে ছিল বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী ও সন্তানরা দলিল ও চুক্তিনামা মানছেন না। তাঁরা পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতি ও পুলিশের সহায়তায় তাঁর কাছ থেকে পাম্পটি দখল করে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলিম বলেন, ‘ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।’
প্রতিনিধি/একেবি
