পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পলী বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের হারজী গ্রামে ওই গৃহবধূর বাবার বসতঘরের মেঝে থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার দিন শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে স্বামী সন্তানসহ ঘুমিয়ে ছিলেন। নিহত গৃহবধূর স্বজনদের দাবি দাম্পত্য কলহের জেরে তার স্বামী হাসান মৃধা স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ মেঝেতে ফেলে আত্মহত্যার প্রচারণা চালায়।
বিজ্ঞাপন
নিহত গৃহবধূ লামিয়া আক্তার পলী মঠবাড়িয়া পৌরশহরের সবুজনগর মহল্লার বাসিন্দা হাসান মৃধার স্ত্রী। তার দুই বছরের এক ছেলে রয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর স্বামী হাসান মৃধা ও তার শ্বশুর লিটন হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে।
থানা ও নিহত গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মঠবাড়িয়া পৌর শহরের সবুজনগর মহল্লার মো. নাসির মৃধার ছেলে হাসান মৃধা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে গত তিন বছর আগে একই উপজেলার হারজী গ্রামের লিটন হাওলাদারের মেয়ে পলী বেগমকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে স্বামীর পরাকীয়াজনিত চারিত্রিক দোষ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। গত দু’দিন আগে গৃহবধূ পলী বেগম, স্বামী হাসান মৃধা ও তাদের দুই বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। গতকাল শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়। এরপর তারা ঘুমিয়ে পড়েন। মধ্যরাতে জামাই হাসান মৃধা তার ঘুমন্ত শ্বশুরকে ডেকে তুলে জানায় পলী আত্মহত্যা করেছে। পলীর বাবা লিটন হাওলাদার ছুটে এসে দেখেন মেয়ের লাশ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। থানা পুলিশকে খবর দিলে দিলে পুলিশ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। এসময় পুলিশ গৃহবধূর স্বামী হাসান ও তার শ্বশুরকে আটক করে।
বিজ্ঞাপন
এ ব্যাপারে নিহত গৃহবধূর আপন খালা নুসরাত বেগম অভিযোগ করেন, আমার বোনের মেয়েকে দাম্পত্য কলহের জেরে হত্যা করে তার লাশ ঘরের মেঝেতে ফেলে রাখে জামাই। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি জানাই।
হাসানের মা বিউটি বেগম জানান, আমার ছেলেকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে। আমরা চাই সঠিক তদন্ত হোক।
এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে বাবার বসতঘর হতে গৃহবধূ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জ্ঞিাসাবাদেও জন্য গৃহবধূও স্বামী ও তার বাবাকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিনিধি/এসএস

