রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলের মরদেহ পোড়ানোর সময় তেল ছিটিয়ে আগুনের শিখা বাড়ানোর অভিযোগে নজরুল ইসলাম নজিরকে (৩৩) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আকবর শেখের ছেলে এবং নাসের মাতুব্বর পাড়ার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
বিজ্ঞাপন
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব জানিয়েছেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে নুরাল পাগলের মরদেহ পোড়ানোর সময় নজরুল ইসলাম নজির তেল ছিটিয়ে আগুনের শিখা বাড়িয়েছিলেন।
নুরাল পাগলের দরবারে আগুন দেওয়ার ঘটনায় তার ভক্ত রাসেল মোল্লা নিহত হওয়ার পর তার বাবা আজাদ মোল্লা অজ্ঞাতনামা প্রায় ৩,৫০০–৪,০০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় দায়ের করা মামলায় হত্যাসহ অগ্নিসংযোগ, লাশ পোড়ানো, ক্ষতিসাধন, চুরি ও জখমের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলায় ফরিদপুরের নগরকান্দা থেকে নজরুল ইসলাম নজিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অন্য আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (৫ আগস্ট) জুমার নামাজের পর ঈমান-আকিদা রক্ষা কমিটির ব্যানারে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নুরাল পাগলের দরবারে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় নুরাল পাগলের ভক্তদের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই পক্ষের শতাধিক মানুষ আহত হয়। হামলায় নিহত হন নুরাল পাগলের ভক্ত রাসেল মোল্লা। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে হামলা চালানো হয় পুলিশের ওপর এবং দু’টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে ১০–১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হন।
পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় রাতেই গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপ-পরিদর্শক সেলিম মোল্লা ৩,৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/ এমইউ

