বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ও জনতার আন্দোলনে শহীদদের স্মৃতিকে সম্মান জানাতে সারাদেশে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই স্মৃতিস্তম্ভগুলো জুলাইয়ের শেষ ভাগে অথবা ৫ আগস্টের আগেই নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে নকশায় কিছু পরিবর্তনের কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি।
তবে বর্তমানে ফরিদপুরে নির্মিত ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’ দৃশ্যমান হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
গত মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) থেকে শহরের আলীপুরে হাসিবুল হাসান লাভলু সড়কে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ পুনরায় শুরু হয়। বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্মৃতিস্তম্ভটি এখন স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।
ফরিদপুরে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণকারী ঠিকাদার আরেফিন কায়েস ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমরা ৫ আগস্টের আগেই নির্মাণকাজ শেষ করার সব প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গণপূর্ত বিভাগ থেকে নকশায় কিছুটা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত আসায় নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয় দফায় গত মঙ্গলবার থেকে আমরা পুনরায় কাজ শুরু করেছি। লোহা ও পিতলের মিশ্রণে তৈরি তিন টন ওজনের স্তম্ভটি স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপনসহ অন্যান্য নিরাপত্তাবিষয়ক কাজ চলছে। আশা করছি, এক সপ্তাহের মধ্যেই সব কাজ শেষ করে স্মৃতিস্তম্ভটি প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করতে পারব।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সোহরাব হোসেন বলেন, ‘স্মৃতিস্তম্ভের মূল কাঠামো স্থাপন শেষ হয়েছে। এখন নিরাপত্তাবিষয়ক কিছু কাজ চলমান রয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে। স্মৃতিস্তম্ভটির নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসন থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হবে।’
স্মৃতিস্তম্ভটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি জানান, ‘এ বিষয়ে এখনও কেন্দ্র থেকে কোনো নির্দেশনা আসেনি। নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া হবে।’
বিজ্ঞাপন
জুলাই মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে ফরিদপুরে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের নাম এবং আন্দোলনের বিভিন্ন স্লোগান স্মৃতিস্তম্ভে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ফরিদপুরের জুলাই শহীদরা হলেন তামিম শিকদার, সিরাজুল বেপারী, জান শরীফ মিঠু, আব্দুল আহাদ, শামসু মোল্লা, খালিদ হোসেন সাইফুল ও কামরুল ইসলাম সেতু।
প্রতিনিধি/একেবি

