রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

শিপইয়ার্ড সড়কের বেহাল দশায় অভিনব প্রতিবাদ

জেলা প্রতিনিধি, খুলনা
প্রকাশিত: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১৯ পিএম

শেয়ার করুন:

শিপইয়ার্ড সড়কের বেহাল দশায় অভিনব প্রতিবাদ
শিপইয়ার্ড সড়কের বেহাল দশায় অভিনব প্রতিবাদ। ছবি: ঢাকা মেইল

প্রথম দেখায় মনে হতে পারে, কোনো কৃষক চলতি মৌসুমে আমন ধান রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত করে চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কিন্তু বিষয়টি মোটেও তা নয়। খুলনা মহানগরীর অন্যতম প্রবেশদ্বার খানজাহান আলী সেতু সংলগ্ন শিপইয়ার্ড সড়কের বেহাল দশার প্রতিবাদ জানাতে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণে এমন অভিনব কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) খুলনা মহানগর শাখার উদ্যোগে রূপসা সেতুর পশ্চিম পাশে সিঁড়ির নিচের সড়কে প্রতীকী ধান রোপণের মাধ্যমে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।


বিজ্ঞাপন


জানা যায়, খুলনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথ শিপইয়ার্ড সড়কের উন্নয়ন কাজ মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ)-এর প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে লাল কার্ড প্রদর্শন এবং ধানের চারা রোপণের মাধ্যমে প্রতীকী প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ‘খুলনার অন্যতম ব্যস্ত সড়ক রূপসা ট্রাফিক মোড় থেকে খানজাহান আলী (রূপসা) সেতু পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি গত ১২ বছরেও সংস্কার করা হয়নি। গর্ত ও ভাঙাচোরা সড়কের কারণে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। দীর্ঘদিন কাজ ফেলে রাখায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহকারী মহাসচিব এবং আমার দেশের ব্যুরো প্রধান এহতেশামুল হক শাওন বলেন, ‘কেডিএ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির এই বেহাল অবস্থা। লুটপাট করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পালিয়ে গেছে। অবিলম্বে সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু করতে হবে।’

নিসচা খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মুন্নার সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন: আমরা বৃহত্তর খুলনাবাসীর সাধারণ সম্পাদক সরদার আবু তাহের; খুলনা নাগরিক সমাজের সভাপতি অ্যাড. বাবুল হাওলাদার; বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান বাবু; ৩১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি আফসার উদ্দিন মাস্টার এবং খুলনার অন্যান্য নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিগণ। 


বিজ্ঞাপন


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই সড়কটি এক যুগ ধরে পথচারী ও এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৩ সাল পর্যন্ত সড়কটি ছিল খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)-এর নিয়ন্ত্রণে। ২০১৩ সালের ৭ মে একনেক সভায় সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্প অনুমোদিত হলে, এটি খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ)-এর অধীনে চলে যায়।

প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় ৯৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। নানা প্রশাসনিক ও কারিগরি জটিলতায় নির্ধারিত সময়ের নয় বছর পর কাজ শুরু করে কেডিএ। বর্তমানে সড়কের প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হলেও বাকি কাজ ফেলে রেখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পালিয়ে যায়। ফলে জনদুর্ভোগ আরও বেড়েছে।

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর