বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, “জনগণ বিএনপির আহ্বানে সাড়া দিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছিল। কারণ তারা বিশ্বাস করত, একমাত্র বিএনপিই পারে নতুন বাংলাদেশ গড়তে এবং তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে।”
তিনি আরও বলেন, ‘এই কারণেই দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে একমাত্র বিএনপির নেতাকর্মীরাই লড়াই করে গেছে। এমন আর কোনো রাজনৈতিক শক্তি নেই, যারা এত দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম চালিয়ে গেছে।’
বিজ্ঞাপন
বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) যশোর শহর ও সদর উপজেলা বিএনপির আয়োজনে এক বিশাল, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা-পূর্ব সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুন্সী মেহেরুল্লাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম। পরে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়, যা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মণিহার চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আরও বলেন, “দীর্ঘ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে অনেক রাজনৈতিক শক্তি আমাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। আমরা তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। আমরা কারও অবদানকে খাটো করে দেখতে চাই না। তবে ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর যারা গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় শামিল হয়েছিল, তাদের কেউ কেউ এখন আন্দোলনের একক কৃতিত্ব দাবি করছে।”
“কিন্তু বিএনপি কখনোই আন্দোলনের একক কৃতিত্ব দাবি করেনি,” উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিএনপি মনে করে, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের কৃতিত্ব যদি কারও হয়, তবে তা পুরো জাতির—কোনো একক রাজনৈতিক দলের নয়। সেই কারণেই আমাদের নেতা তারেক রহমান ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের কৃতিত্ব সবার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।”
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে এবং র্যাব-পুলিশের বুলেটকে আলিঙ্গন করে আমরা প্রমাণ করেছি—গণতন্ত্রের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার এবং জনগণের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা কতটা দৃঢ়। এই দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামে আমাদের আত্মত্যাগের মূল লক্ষ্য ছিল—জনগণের কাঙ্ক্ষিত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ পুনর্গঠন করা।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ। এতে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, মিজানুর রহমান খান, সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রতিনিধি/একেবি

