অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষণার পর আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই রাজনৈতিক অঙ্গনে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা জোরালো হচ্ছে। এই পদ্ধতির বিভিন্ন দিক নিয়ে সমালোচনা করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
তিনি বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ বলছে ভোট দিচ্ছি সন্দ্বীপ, এমপি পাইছি মালদ্বীপ! এরকম হলে কি চলবে? এ দেশে যে গতানুগতিক পদ্ধতি আছে, সেই পদ্ধতিতেই নির্বাচন হবে।”
বিজ্ঞাপন
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইল পৌর শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে টাঙ্গাইল শহর ও সদর উপজেলা বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু আরও বলেন, “পিআর পদ্ধতি বাংলাদেশের মানুষ বোঝে না। পিআর মানে কী? ভোট দিলাম টাঙ্গাইলে, এমপি পেলাম নোয়াখালীতে! টাঙ্গাইলে যারা ভোট দেবে, তারা টাঙ্গাইলেরই প্রতিনিধি চায়। নোয়াখালীর মানুষ নোয়াখালীর প্রতিনিধি চায়। এটাই তো স্বাভাবিক। কাজেই এ দেশে যে প্রচলিত (গতানুগতিক) পদ্ধতি আছে, সেই পদ্ধতিতেই নির্বাচন হওয়া উচিত।”
তিনি আরও বলেন, “সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ করে দিতে পারলে বিএনপিকে শেষ করা যাবে— সরকার এমনটাই ভেবেছিল। এই কারণেই ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার খালেদা জিয়াকে ছয় বছর জেলে রেখেছিল। তারা মনে করেছিল, বিএনপি শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু বাস্তবতা অন্যরকম।”
বিএনপির এই নেতা বলেন, “এই দেশটা আমাদের সবার। তাই বাংলাদেশকে বুকে ধারণ করে আমাদের সামনে এগোতে হবে। মনে রাখতে হবে, সবার আগে বাংলাদেশ। এ কারণেই আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একটি নতুন স্লোগান দিয়েছেন— ‘ভোট দেবো ধানের শীষে, দেশ গড়বো মিলেমিশে।’”
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন—টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক শানু, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ ও শহর বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান আলিম প্রমুখ।
প্রতিনিধি/একেবি

