বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেছেন, জাতীয় পার্টির কাঁধে ভর করে ফ্যাসিবাদী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। তারা জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের অর্জনকে ব্যর্থ করতে নানা চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। পতিত স্বৈরশাসক বিভিন্নভাবে উঁকি-ঝুঁকি দিয়ে আবার ফিরে আসতে চায়। বিশেষ করে জাতীয় পার্টির মাধ্যমে দেশে পুরনো ফ্যাসিবাদের আবির্ভাব ঘটার আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বরে দলীয় কার্যালয়ে রংপুর–দিনাজপুর অঞ্চলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক অঞ্চলভিত্তিক বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
আবদুল হালিম আরও বলেন, আওয়ামী লীগের গত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদ দীর্ঘস্থায়ী করার পেছনে জাতীয় পার্টির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। বর্তমানে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের বি-টিমে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত না করা হলে আসন্ন নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।
তিনি আরও বলেন, এখনো নির্বাচনের জন্য সমতল ক্ষেত্র বা ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি হয়নি। বরং রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল করার পরিবর্তে সম্প্রতি দলীয় নেতা নূরের ওপর হামলা হয়েছে। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং হামলাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
নির্বাচনী পদ্ধতির প্রসঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর এ নেতা বলেন, জনগণের মাঝে ‘পিআর পদ্ধতি’র (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক পদ্ধতি) দাবি দিন দিন স্পষ্ট হয়ে উঠছে। আমরা মনে করি, এ পদ্ধতির মাধ্যমে একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব। কারণ, সনাতন পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে মনোনয়ন বাণিজ্য ও নির্বাচনী সংঘাত-সংঘর্ষ বেড়ে যায়। এতে ভোটারদের মধ্যে কেন্দ্রে না যাওয়ার প্রবণতাও দেখা যায়।
অঞ্চল বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল টিমের সদস্য আব্দুর রশিদ, আজিজুর রহমান স্বপন ও আব্দুল হাকিম প্রমুখ। বৈঠকে রংপুর অঞ্চলের আট জেলার জেলা আমির ও সেক্রেটারিগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/একেবি

