নড়াইলে চুরি করতে ঘরে ঢুকেছিল চোরের দল; এসময় বাড়ির মালিক আশরাফ মোল্যার (৫৫) ঘুম ভেঙে যাওয়ায় চোরদের দেখে ফেলেন তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে কুপিযে জখম করেন চোরেরা।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে নড়াইল জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আশরাফ মোল্যা ও তার পরিবার এ অভিযোগ করেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে গত সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে নড়াইল সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত আশরাফ মোল্যা নূর মোহাম্মদ মোল্যার ছেলে। আশরাফ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
আহত আশরাফ ও তার পরিবার জানায়, সোমবার রাতে প্রতিদিনের মত রাতের খবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন আশরাফ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এদিন আনুমানিক রাত একটার দিকে কয়েকজন চোর তাঁদের বেড়া কেটে বারান্দার একটি কক্ষে ঢোকেন। সেখানে ধান রাখা ছিল। চোরেরা ধান চুরি করার সময় হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় বাড়ির মালিক আশরাফের। তখন তিনি লাইট হাতে নিয়ে বারান্দার কক্ষের দিকে যান। এসময় চোরদের মধ্যে একজন চোরকে আশরাফ চিনে ফেলেন। এতেই বাঁধে বিপত্তি। চিনে ফেলায় হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আশরাফের মাথা ও বাম হাতে কুপিয়ে জখম করে। এসময় আশরাফের চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্য ও আশেপাশে লোকজন ছুটে এলে দৌড়ে পালিয়ে যায় চোরেরা। পরে আশরাফকে উদ্ধার করে নড়াইল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত আশরাফের ছেলে লিপটন মোল্যা বলেন, এর আগেও একবার আমাদের এখান থেকে ধান চুরি হয়েছিল। কিন্তু চোরকে ধরা যায় নি। সোমবার আবার চুরি করতে আসলে একজন চোরকে আমার বাবা চিনে ফেলেন। এ কারণে আমার বাবাকে হত্যার চেষ্টা করে তাঁরা। তবে এ যাত্রায় আমার বাবা বেঁচে গেছেন। আমাদের ধারণা, এর আগেরবারও এরাই ধান চুরি করেছিল। বিষয়টি আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে এসেছিল।
এ বিষয়ে জানতে নড়াইল সদর থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাকে ফোন করা হলে তিনি জানান বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/একেবি
