শনিবার, ৪ মে, ২০২৪, ঢাকা

‘হামার ছৈলের হুইলচিয়ার নিয়্যা দেও বাহে’

তোফায়েল হোসেন জাকির
প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২২, ০৯:২৩ এএম

শেয়ার করুন:

‘হামার ছৈলের হুইলচিয়ার নিয়্যা দেও বাহে’

‘হামরা গরীব মানুষ বাবারে। একটা ছৈল, সেটা পুতিবন্দি। নিজে হাঁটি বেড়াবার পায় না। কতাও কবার পায় না। পুত্তিক দিন মাটিত আর চকিত সুতি থোয়া নাগে। সোয়ামীটা মানসের বাড়িত কাম করি যেকনা পায়, সেকনা দিয়্যা এ্যানা চাউল কিনি খাই। একটা হুইলচিয়ার থাকলে মোর ছৈলটা বসি বসি থাকপ্যার পালো হয়। ট্যাকা ব্যাগর কিনব্যার পাম না। তোমরা হামার ছৈলের জন্নে একটা হুইলচিয়ার নিয়্যা দেও বাহে।’

সোমবার (২৭ জুন) সকালে এমনিভাবে কথাগুলো বলছিলেন ছিন্নমূল পরিবারের গৃহবধূ লাভলী বেগম। তার ছেলে লিমন মিয়া (৮) জন্মগতভাবে প্রতিবন্ধী। এই ছেলের জন্যে একটি হুইলচেয়ারের আকুতি জানান তিনি।


বিজ্ঞাপন


লিমন মিয়া গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের ভেলাকোপা (পশ্চিপাড়া) গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। জন্ম থেকেই সে শারীরিক প্রতিবন্ধী। হাত-পা দিয়ে কোনো ভাবেই হাঁটা-চলা করতে পারে না। হাত-পায়ে কোনো জোর বল নেই। হুইলচেয়ার না থাকায় চলাচল করতে খুব কষ্ট হয় তার। মাটি বা বিছানায় শুয়ে শুয়ে তার জীবন কাঁটাতে হচ্ছে।

স্থানীয় ময়নুল হক বলেন, ‘লিমন গরীব পরিবারের ছেলে। ওর দিকে তাকালে খুব কষ্ট হয়। এর জন্য একটি হুইলচেয়ার খুবই দরকার।’

প্রতিবন্দী এই লিমনের বাবা শফিকুল ইসলাম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘বাড়িভিটা ছাড়া কোনো জমি নেই। অন্যের জমিতে কাজ করে সংসার চলে। তা দিয়ে ঠিকভাবে পেটের ভাত জোটে না। কীভাবে হুইলচেয়ার কিনে দেই। একটি হুইল চেয়ার না থাকায় খুব কষ্ট করে তাকে চলাচল করতে হচ্ছে।’

হরিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান কবির হোসাইন জাহাঙ্গীর জানান, কোথাও সুযোগ পেলে ওই প্রতিবন্দীর জন্য একটি হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করা হবে।


বিজ্ঞাপন


টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর