ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় স্বামীর বটির আছাড়ে স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রঙরায়েরকান্দী গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত মর্জিনা বেগম (৩৮) ফরিদপুর সদর উপজেলার ফুরসা গ্রামের মৃত মোচন মোল্যার মেয়ে। তিনি তিন মেয়ে ও এক ছেলের জননী। অভিযুক্ত স্বামী মো. বক্কার শেখ (৪৩) একই গ্রামের বাসিন্দা। তারা রঙরায়েরকান্দী গ্রামে একটি ফাঁকা বাড়িতে বসবাস করতেন। সেই বাড়িতে বক্কারের মা মেহেরুন বেগম (৬৫)–ও থাকতেন।
বিজ্ঞাপন
এলাকাবাসীরা জানান, বক্কার ও মর্জিনার মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। সোমবার দিবাগত রাতে দুজনের মধ্যে তীব্র কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মর্জিনা তার স্বামীকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে দরজা আটকে দেন। পরে বক্কার টিনের বেড়া ভেঙে ঘরে ঢুকে বটির আছাড় দিয়ে মর্জিনার মাথায় আঘাত করেন। এতে মাথা ফেটে ঘটনাস্থলেই মর্জিনা মারা যান।
হামলার সময় মা মেহেরুন বেগম ছেলেকে থামাতে গেলে বক্কার তাকেও মারধর করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ঘটনার পর ঘাতক স্বামী বক্কার শেখ বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে আটক করে।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘পারিবারিক বিরোধের জেরে বক্কার শেখ তার স্ত্রী মর্জিনাকে বটির আছাড়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করি এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠাই।’
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাটি রাতের শেষ প্রহরে ঘটেছে। সকালে আমরা গিয়ে দেখি বক্কার বাড়িতেই ছিলেন। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরে তার আচরণ অসংলগ্ন ছিল। সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় ছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।’
প্রতিনিধি/একেবি
