নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা আম গাছের ডাল কেটে হাজারও চড়ুই পাখির আবাসস্থল নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী মুজিবুর রহমান পান্নার শাস্তি দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, উপজেলা গেটের সামনে থাকা আমগাছটির ডাল-পালা কাটা। এসময় হাজার হাজার চুড়ই পাখি গাছটিতে বসতে না পেরে উড়তে দেখা যায়।
বিজ্ঞাপন
অভিযোগ রয়েছে- রোববার (৩১ আগস্ট) ভোরে লোহাগড়া উপজেলা শহরের লক্ষ্মীপাশা-কালনা মহাসড়কের পাশে উপজেলা গেটের সামনে সরকারি জমির একটি আমগাছের সব ডাল-পালা কেটে ন্যাড়া করে দেন ব্যবসায়ী মুজিবর রহমান পান্না। প্রতিদিন ওই গাছে হাজারও দেশীয় চড়ুই পাখির দেখা মিলত। সন্ধ্যায় পাখিরা স্বাভাবিক নিয়মে সেখানে ফিরে এলে ডাল-পালাহীন গাছ দেখে তারা উড়ে বেড়াতে থাকে। এমন দৃশ্য ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে।
![]()
স্থানীয় কামরুল ইসলাম বলেন, এখানে প্রতিদিন অনেকেই পাখি দেখতে আসত। ছবি তুলত, সেলফি তুলত। গাছটির সব ডাল কেটে ফেলার ঘটনায় আমরা খুব কষ্ট পেয়েছি। প্রশাসনের কাছে দোষীর শাস্তি দাবি করছি।
লক্ষীপাশা আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক রেজাউল ইসলাম বলেন, সরকারি জায়গার গাছে হাজারও পাখি বাস করত। তাদের আবাসস্থল ধ্বংস করা আইনত অপরাধ। অপরাধী যেই হোক না কেন শাস্তি পেতেই হবে।
একই প্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যাপক টি এম ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, পাখির আবাসস্থল এভাবে নষ্ট করা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
![]()
তবে অভিযুক্ত মুজিবুর রহমান পান্না দাবি করেছেন, আম গাছটি তিনি নিজে লাগিয়েছিলেন এবং পাখিরা নোংরা করত। তবে তিনি গাছ কাটার বিষয়টি ভুল ছিল বলে স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু রিয়াদ বলেন, সরকারি জমির গাছ কাটা এবং বন্যপ্রাণী আইনে পাখির আবাসস্থল ধ্বংস করা দণ্ডনীয় অপরাধ। আমরা বিষয়টি জেনেছি, আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিনিধি/এসএস

