বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নে আলমগীর সিকদার হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি মোহাম্মদ সেলিম উদ্দীনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জামিউল হায়দার এ আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
আসামি মো. সেলিম উদ্দীন লোহাগাড়ার রসিদারপাড়া এলাকার সৈয়দুর রহমানের ছেলে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০১৯ সালের ২৩ জুলাই রাতে আলমগীর সিকদারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। নিজের মুরগির খামার থেকে ফেরার পথে সরই পুলাং পাড়ার একটি রাবার বাগানে পৌঁছালে সেলিম উদ্দীনসহ সহযোগীরা তাকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই আসামি সায়মন ত্রিপুরা ও বীর বাহাদুর ত্রিপুরাকে গ্রেফতার করে। তারা আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দীতে স্বীকার করেন যে আলমগীর সিকদার হত্যার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সেলিম উদ্দীন, জয়নাল আবেদীন ভেট্টু ও জমির উদ্দীনের সরাসরি সম্পৃক্ততা ছিল।
এছাড়া পুলিশ তদন্তের সময় হত্যার আগের দিন বিভিন্ন স্থানে সেলিম উদ্দীনের উপস্থিতির সিসিটিভি ফুটেজ, লোহাগাড়ার আবাসিক হোটেলে অবস্থান ও মামনি হাসপাতালে যাওয়া-আসার ফুটেজ সংগ্রহ করে। এমনকি হত্যার কাজে ব্যবহৃত দা যে কামারের কাছ থেকে কেনা হয়েছিল, তিনিও পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেন।
দীর্ঘ প্রায় ছয় বছর পলাতক থাকার পর সেলিম উদ্দীন রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। তবে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আলমগীর চৌধুরী বলেন, “২০১৯ সালের এই হত্যা মামলা বান্দরবান জেলার একটি চাঞ্চল্যকর মামলা ছিল। প্রধান পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা সেলিম উদ্দীন আজ আত্মসমর্পণ করলেও আদালত জামিন না দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।”
প্রতিনিধি/ এমইউ

