রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

সংশয়ে রাকসু নির্বাচন, প্রার্থীতা গ্রহণে ধীরগতি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, রাবি
প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০৭:৫৭ এএম

শেয়ার করুন:

সংশয়ে রাকসু নির্বাচন, প্রার্থীতা গ্ৰহণে ধীরগতি

সংশয় কাটছে না রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন নিয়ে।

রোববার (২৪ আগস্ট) সকাল থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়নপত্র বিতরণ। কিন্তু দুদিন পার হলেও এখন পর্যন্ত মেলেনি কাঙ্ক্ষিত সাড়া। প্রার্থীতা ঘোষণা করতে দেখা যায়নি ছাত্রসংগঠন ও সাবেক সমন্বয়কদের। সাধারণ শিক্ষার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মাঝেও রয়েছে ধীরগতি।


বিজ্ঞাপন


নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি না হওয়ার অভিযোগ তুলে কিছুটা নিশ্চুপ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। অ্যাকাডেমিক ভবনে ভোটগ্ৰহণসহ ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। তাদের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতাদের নাম খসড়া ভোটার তালিকায় রয়েছে। যদিও নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে চূড়ান্ত তালিকায় তাদের নাম বাদ দেওয়া হবে। দাবি আদায়ে প্রশাসনেকে ১০ দিনের সময়ও বেধে দিয়েছেন তারা।

অন্যদিকে, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ না করলেও সঠিক সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের থেকে প্যানেল ঘোষণার কথা থাকলেও এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে রাকসু পেছানোর।

সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে ফরম বিতরণ। কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচনে ভিপি (সহ-সভাপতি) পদে ২ জন, সহযোগী ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১ জন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১ জন, নারী বিষয়ক সম্পাদক পদে ১ জন, কার্যনির্বাহী সদস্য পদে ৩ জন ও সিনেট সদস্য পদে ১ জন মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। এ পর্যন্ত ৭টি পদে ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। বাকি ১৬ পদে এখনো মনোনয়নপত্র নেননি কেও। এছাড়া হল সংসদে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন ৬ জন।

মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে প্রথম সিনেট সদস্য প্রার্থী জাকির হোসেন বলেন, আমি ভোটারদের মাঝে ইশতেহারের বোঝা ঝুলাতে চাই না। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রগতিবাদী কণ্ঠস্বর ও প্রশাসনেকে জবাবদিহিতার মধ্যে রাখতে চাই। আমি শিক্ষার্থীদের অধিকার এবং ক্যাম্পাসে সমতা নিশ্চিত করতে চাই।


বিজ্ঞাপন


রাকসুর চিফ রিটার্নিং অফিসার প্রফেসর ড. সেতাউর রহমান বলেন, প্রথম দিনে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ধর্মঘট এবং আজকে ছাত্রদলের নির্বাচন পেছানোর দাবি ছিল। যার ফলে দ্বিতীয় দিনেও প্রার্থীরা কম পরিমাণে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছে। আমাদের কমিশনের বেশ কয়েকজন সদস্য রাজশাহীর বাইরে আছেন, এজন্য আমরা আজ কোনো মিটিং করতে পারিনি। আগামীকাল মিটিং করে আমরা রাকসু পেছানো বা নতুন সিদ্ধান্ত নেবো।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর ড. এফ নজরুল ইসলাম জানান, ব্যাংকের কাজসহ নানা কারণে প্রার্থীদের আসতে দেরী হতে পারে। এছাড়া অনেকের মধ্যে একটা সংশয় রয়েছে, এজন্য হয়তো তারা আসছেন না। সবাই অবজারভ করছে। তবে আমরা আশা করছি যে আগামীকাল সবাই মনোনয়নপত্র তুলবে।

প্রতিনিধি/টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর