নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানার যোগানিয়ায় প্রবাসী মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে স্কুল শিক্ষার্থী আল-মামুন (১৬) হত্যা মামলায় জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) বেলা ১১টায় উপজেলার নড়াগাতী থানার যোগানিয়া বাজার বাসস্ট্যান্ডে ছাত্র সমাজ ও এলাকাবাসীর আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে নিহতের স্বজন সহপাঠী, শিক্ষকসহ বক্তব্য দেন কাকা মিয়া লস্করসহ আরও অনেকে। এতে স্থানীয় এলাকাবাসী, নিহত আল-মানুনের স্বজন, সহপাঠী ছাড়াও যোগানিয়া ডিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকরাসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় স্থানীয় বাসিন্দা মো. তনু শেখ বলেন, এতদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোনো আসামি ধরতে পারেনি এবং স্কুল কর্তৃপক্ষও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি এটা দুঃখজনক। আমরা হত্যাকারীদের দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
যোগানীয়া ডিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক খাইরুল আলম ভুইয়া বলেন, আল-মামুন হত্যার ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
মামুনের মামা আমানত ইসলাম পারভেজ বলেন, আগস্ট মাসের ৮ তারিখে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আল-মামুনের মৃত্যু হয়েছে। ১১ আগস্ট মামলা হয়। তবে আজ ২৫ আগস্ট, অথচ পুলিশ কোনো আসামি গ্রেফতার করতে পারেনি। দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্যই আজকের মানববন্ধন বলে তিনি জানান।
নিহতের বাবা হাবিবুর রহমান ও বোন মুসলিমা ও জাকিয়া সুলতানা বলেন, আল-মামুনকে যারা হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি চাই। কিশোর গ্যাংয়ের বর্বরতায় আর কোনো মা-বাবার বুক যেন খালি না হয় সে জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
এ বিষয়ে নড়াগাতী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান মুঠোফোনে ঢাকা মেইলকে বলেন, আল-মামুন হত্যা মামলায় একজন আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে, তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
![]()
উল্লেখ্য, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানার যোগানিয়া বাজারের প্রহ্লাদ বিশ্বাসের সেলুনে গত ২২ জুলাই দুপুরে চুল কাটাতে গেলে একই এলাকার নলীন নন্দীর ছেলে শিমুল নন্দীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় আল-মামুনের। একপর্যায়ে শিমুল সেলুনে থাকা চুল কাটা কাঁচি দিয়ে মামুনের গলায় আঘাত করে।
এতে সে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে তাকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে ৮ আগস্ট সকালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ১১ আগস্ট নিহত আল-মামুনের বাবা প্রবাসী মো. হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে হত্যায় জড়িত ১৩ জনকে আসামি করে নড়াগাতী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
প্রতিনিধি/এসএস

